সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পহেলগাঁও হামলার পর দেশজুড়ে টানটান উত্তেজনা। হ্যাঁ, সেই ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েন এখন চরম উত্তেজনায়। আর ঠিক তখনই বড়সড় পদক্ষেপের পথে হাঁটলো কেন্দ্র সরকার।
সূত্রের খবর, আগামী 7 মে বুধবার দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এক বিরাট যুদ্ধকালীন মহড়া (Mock Drill)। আর এই মহড়াতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে চলেছে বাংলার 23টি জেলার বিভিন্ন প্রশাসন, স্কুল-কলেজ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু কোথায় কোথায় হবে এই মহড়া? জানতে হলে প্রতিবেদনটিতে চোখ রাখুন।
যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার!
আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই মহড়ার উদ্দেশ্য, জরুরী পরিস্থিতিতে দেশের প্রস্তুতি ঠিক কতটা, সেগুলিকে খতিয়ে দেখা। আর এই মহড়াগুলির প্রধান লক্ষ্য হবে, বিমান হামলা হলে কীভাবে সতর্ক হওয়া যাবে, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিক করণীয় কাজ কী হবে, হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে ইত্যাদি। পাশাপাশি জরুরী উদ্ধারকাজের সময় প্রশাসনের দায়িত্ব ঠিক কতটা, সেগুলিকে যাচাই করা।
বাংলার কোথায় কোথায় হচ্ছে মহড়া?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে বাংলার 23টি জেলার নামই রয়েছে, এই ২৩ জেলায় মোট 31টি মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হবে। তালিকায় রয়েছে কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, গ্রেটার কলকাতা, শিলিগুড়ি, হলদিয়া, দুর্গাপুর, খড়গপুর, হাসিমারা, ফারাক্কা, বার্নপুর-আসানসোল, বালুরঘাট, খেজুরিঘাট, বীরভূম, চিত্তরঞ্জন, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, কালিম্পং, কোলাঘাট, বর্ধমান, জলঢাকা, মাথাভাঙ্গা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদ। হ্যাঁ, এই এলাকাগুলিকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে এই মহড়ার পরিকল্পনা হয়েছে।
কারা যুক্ত থাকবেন এই মহড়ায়?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই মহড়ায় প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের থাকতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক সুরক্ষা বাহিনী, হোমগার্ড, এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্রের সদস্য এবং স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদেরকে অংশ নিতে হবে। অর্থাৎ, এই ড্রিল শুধুমাত্র প্রশাসনিক মহড়াতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, জনগণকেও সামিল দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ তলে তলে এত্ত কিছু! ভারত, পাকিস্তান উত্তেজনার ফায়দা নিয়ে বিরাট ফন্দি আঁটল বাংলাদেশ
সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নৌ এবং বায়ুসেনা প্রধানদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন। আর এই বৈঠকে জঙ্গিদের দমন ও পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিয়ে জোরদার আলোচনা করা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই মহড়ার নির্দেশ জারি করে।