প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে 242 জন যাত্রী নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার সময় এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 বিমানটি ভেঙে পড়ে। নিকটবর্তী ডাক্তারদের একটি হস্টেল ভবনে গিয়ে ধাক্কা মারার ফলে বিমানের ভিতরে থাকা যাত্রী তো বটেই হস্টেল এবং তার আশপাশেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে এবার বিপদ কলকাতাতেও (Kolkata Airport)?
ভয় ধরাচ্ছে কলকাতাতেও!
12 জুন বেলা 1টা 38 নাগাদ আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা ভেঙে পড়ে। সেখানেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকের সম্পূর্ণ দেহ পাওয়া যায়নি। ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে উদ্ধার করা হয়েছে দেহাংশ। কারও শুধু হাত খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, কারও পায়ের অংশ। রীতিমত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। আর তাতেই ভয়ের আতঙ্ক বাড়ছে কলকাতার বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকাগুলিতে। অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর যে কলকাতাকেও ভাবতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কলকাতা বিমানবন্দরের কাছেই বহুতল!
কলকাতা বিমানবন্দরের কাছেই গড়ে উঠছে রাজারহাট, বাগুইআটি, নিউটাউন, কৈখালি, চিনারপার্ক, মধ্যমগ্রাম, বিরাটির মতো একাধিক শহর। তাই সারাক্ষনই প্রায় মাথার উপর দিয়ে চলে যায় বিমান। ছাদের উপর দাঁড়ালেই মনে হয় এই ছুঁয়ে ফেলল বলে। এ দিকে, এই এলাকাগুলিতে গজিয়ে উঠেছে একাধিক বহুতল।
মূলত, বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের থেকে। সাধারনত 18.4 মিটারের বেশি উচ্চতার বাড়ি তৈরি করা যায় না।
আরও পড়ুন: বরাদ্দ 125 কোটি, দুর্গাপুজোর আগেই 200 CNG বাস রাজ্যে, কোন কোন রুটে চলবে?
তবে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই উচ্চতাকে তোয়াক্কা না করে রীতিমত এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় গজিয়ে উঠেছে বহুতল আবাসন। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকে সেকেন্ডারি রানওয়েতে। কারণ অনেক সময় দেখা যায় কলকাতা বিমানবন্দরের প্রাইমারি রানওয়েতে নানা সমস্যা দেখা যায়, তখন সেকেন্ডারি রানওয়েটাই কাজে লাগাতে হয়। কিন্তু ওই চত্বরে একাধিক বহুতল উচ্চতা নির্দেশ না মেনেই আবাসন নির্মাণ করেছে।
প্রসঙ্গত, বিধাননগর কর্পোরেশনের 6 নম্বর ওয়ার্ড কৈখালি চিড়িয়া মোড়ে একটি বহুতল আবাসন উচ্চতা নির্দেশ না মেনে তৈরি করা হয়েছিল, সেই সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠিয়েছিল বহুতলের প্রোমোটারকে। এরপর 2023 সালেও দ্বিতীয় চিঠি পাঠানো হয়। মোট সাতটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল বহুতল নির্মাণকারী প্রোমোটারকে। তবুও কথা কানে না তোলায় শেষে বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |