প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক দূর্নীতির কালো অন্ধকার লেগেই রয়েছে। রেশন দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা,গরু পাচার মামলা কোনোটাই বাদ নেই। জড়িত রয়েছে অসংখ্য শাসকদলের অনেক নেতারা। ইতিমধ্যেই জেলের চরকা কাটছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে পুজোর বেশ কয়েকদিন আগে জেল ছাড়া হয়েছেন বীরভূমের দাপুটে নেট অনুব্রত মণ্ডল এবং মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু এই আবহে পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ল তদন্তকারী সংস্থা। সাক্ষীর মৃত্যুতে তদন্তের গতি সম্পূর্ণ বদলে গেল।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম সাক্ষী শমীক চৌধুরীর আচমকাই মৃত্যু হয়েছে। তিনি ধৃত অয়ন শীলের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বলা যায় অয়নের ব্যবসার অংশীদার তিনি ছিলেন। সিবিআই চার্জশিটে তাঁরও নাম রাখে। চার্জশিটের ২১ নং পাতায় শমীকের নামোল্লেখ ছিল। তাই বলা যায় এই মামলায় ED এবং CBI উভয়েই তাঁকে অন্যতম সাক্ষী হিসেবে রেখেছিল। কিন্তু গত শুক্রবার আচমকাই মৃত্যু হল তাঁর। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে শমীকের।
গত বছর ২০ মার্চ ED হাতে গ্রেফতার হন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন। আর তখনই অয়নের গ্রেফতারের পর থেকেই ‘গায়েব’ হয়ে যান বাপ্পা ওরফে শমীক চৌধুরী। অয়নের সংস্থা ‘এবিএস ইনফ্রাজোন’ নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে নাম ছিল শমীকের।
১০-১২ জন ব্যক্তিকে চাকরি দিয়েছিল শমীক
সেই সংস্থাতেই নাকি মিডলম্যানের কাজ করতেন শমীক। চাকরির নামে টাকা তোলার যে অভিযোগ উঠেছে অয়নের বিরুদ্ধে, এই কারবারে তাঁর নামও যুক্ত ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনি নাকি পৌরসভায় ১০-১২জন ব্যক্তিকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবার হয়ত শমীকের মৃত্যুতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খুব বড় প্রভাব পড়তে চলেছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |