সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ধর্ম আলাদা বলে প্রেমের সম্পর্ক মানতে পারেনি পরিবার। তার ওপর চাকরির পরীক্ষায় ফল ভালো না হওয়ায় শেষমেশ আত্মহননের পথ বেছে নিলেন যুবক। গল্প এখানেই শেষ নয়, প্রেমিকের এহেন করুণ পরিণতি মেনে নিতে না পেরে অপরদিকে নিজেকে শেষ করলেন প্রেমিকা। এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে।
জোড়া আত্মহত্যার ঘটনা মুর্শিদাবাদে
মৃতদের নাম হল শাহবাজ হোসেন (২৪) ও দ্রোণী দাস (২২)। দুজনেই জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিংহ কলেজে পড়তেন। সেখানেই তাঁদের বন্ধুত্ব হয় এবং পরে সেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। তিন বছর ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি দুই পরিবার তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারায় তুমুল অশান্তি শুরু হয় দুই পরিবারেই। তারপরেও হার মানতে নারাজ ছিলেন দুজনে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দরকার ছিল একটা ভালো চাকরি। আর তারই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শাহবাজ। তবে ভাগ্য তাঁদের সঙ্গে ছিল না। গত রবিবার সাব-ইনস্পেক্টর পদে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন শাহবাজ। কিন্তু পরীক্ষা ভাল হয়নি তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। আর এরপরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
পরিবার সূত্রে খবর, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন যুবক। পরিবারের সদস্যরা ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, প্রেমিকের মৃত্যুর খবর পেতেই স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েন দ্রোণী। তিনি শাহবাজের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে, কিন্তু সেখানেও পরিবার থেকে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে আটকে রাখাও হয় বলে অভিযোগ। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের নজর এড়িয়ে দোতলায় উঠে গলায় ফাঁস দেন দ্রোণীও। সন্ধ্যায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পরিবার।
তদন্ত শুরু পুলিশের
দুই পরিবারেই নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দু’টি ঘটনাতেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন দেখার মামলা কোন দিকে মোড় নেয়।