সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: মুর্শিদাবাদ, যেখানে একসময় মিষ্টি ঘ্রাণ আর ইতিহাসের গল্প লেখা থাকতো, আজ এই শহরে আগুন জ্বলছে। ওয়াকফ আইন (Waqf Act) সংশোধনের বিরোধিতা করতে গিয়ে কিছু স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। আর তা রূপ নেয় ভয়ংকর সংঘর্ষে। কার্যত সেখানকার গরম হাওয়া পৌঁছে গিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের দরজায়।
শুরুটা হয়েছিল প্রতিবাদ দিয়ে
গত শুক্রবারের ঘটনা। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু হয় ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কিন্তু তা অল্প সময়ের মধ্যেই মারাত্মক রূপ নেয়। তরঙ্গের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে শহরের অলিতে গলিতে আতঙ্ক। বহু মানুষ ঘর ছেড়ে পালায়। এমনকি অনেকে আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে।
তবে প্রশাসনও হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি। রাতারাতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনকি ২০০-র বেশি গ্রেফতার হয়েছে। একের পর এক এফআইআর হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এখন পুলিশ সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে…
সোমবার ADG আইন-শৃঙ্খলার বিভাগের কর্তা জাভেদ শামিম জানান, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৯ জন ঘরে ফিরেছেন। কিন্তু সেই আশার কথা শেষ হওয়ার আগেই ফের ছড়িয়েছে উত্তেজনা। সামসেরগঞ্জে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার ফলে কার্যত প্রাণ বাঁচাতে পালাতে হয় জওয়ানদের। তবে বিশাল সংখ্যক সেনাবাহিনী ও পুলিশ আধিকারিকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কান্দি থেকে ছড়ালো উত্তেজনার ঢেউ
সোমবার কান্দি মহাকুমার বড়ঞা থানার কুলি চৌরাস্তা এলাকায় বহু মানুষ বিক্ষোভে সামিল হন। ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কার্যত গরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশ যখন পরিস্থিতি বজায় রাখার চেষ্টা করছিল, তখনই শুরু হয় কথা কাটাকাটি। তবে পরিস্থিতি সামাল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা…
এই আবহেই এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর ঝা। মামলায় তিনি দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হোক। তার কথায়, এই মুহূর্তে শুধু হাইকোর্ট নয়। বরং সুপ্রিম কোর্টকেও নজর দিতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ মুক্তি পায় এবং তাদের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। এখন মুর্শিদাবাদের এই পরিস্থিতি কতদূর গড়াবে সেটা সময় বলে দেবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |