বৈশাখী মণ্ডল, মুর্শিদাবাদঃ আবারও ডিয়ার লটারিতে (Lottery) কোটিপতি হলেন এক গরীব সাধারণ মানুষ। নাম ওয়াদ আলি শেখ। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদে। তিনি পেশায় ভ্যান চালক। ওয়াদ আলি ১৯,২০ বছর ধরে নিয়মিত লটারি কেটে আসছেন। কখনও সামান্য কিছু পেতেন আবার কখনও কিছুই না। টিকিট কাটাটা তার এক প্রকার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। এবার মাত্র ৩০ টাকায় লটারির টিকিট কাটে ওয়াদ, আর সোমবার ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেলো সে সর্বোচ্চ পুরস্কারটি জিতেছেন এবং কোটিপতি হয়েছেন।
মোটরভ্যান চালান ওয়াদ আলি
মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার সিজগ্রামের বাসন্দা ওয়াদ আলি শেখ। সেখানে তিনি তার স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে থাকতেন। যদিও বর্তমানে তার মেয়ে বিবাহিতা। ওয়াদের ছেলে চুলের ব্যবসা করেন। মানে চুলের বিনিময়ে বাটি, থালা একসব দেন ক্রেতাদের। ওয়াদ আলি আগে শ্রমিকের কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি মোটর ভ্যানে করে সিমেন্ট নিয়ে যান। যেটুকু আয় হয় তাতে টেনেটুনে তিনজনের সংসার চলে যায়।
৩০ টাকার লটারিতে কোটিপতি মুর্শিদাবাদের দিনমজুর
ওয়াদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে লটারি কাটার পরেও তেমন ভাবে কোনো দিন কিছুই পাননি তিনি। তারপরেও তার লটারি কাটার নেশাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। সোমবার ৩০ টাকার লটারি টিকিট কাটার পরেও সে ভাবেনি তার ভাগ্যের চাকা এমন ভাবে ঘুরে যাবে। সে সর্বোচ্চ পুরস্কারটি জিতবে এবং লোকে তাকে কোটিপতি বলবেন। ওয়াদ আলি এটাও বলেন, কিছু টাকা দিয়ে জমি জায়গা কিনবেন। কিছু টাকা দিয়ে বাড়িটা ঠিকঠাক করাবেন।
ওয়াদের স্ত্রী আঙ্গুরা বিবি বলেছেন তার স্বামীকে নিয়মিত লটারির টিকিট কাটতে দেখেছেন। কোনোদিনও তেমন কিছুই পাননি টিকিটে। তবুও তিনি কোনোদিন স্বামীকে বাধা দেননি। তিনি মনে মনে চেয়েছিলেন একদিন ভালো কিছু হোক। তার স্বামীর টাকা গুলো যাতে জলে না যায়।
সোমবার সন্ধ্যায় যখন জানতে পারলেন তিনি কোটিপতি স্বামীর স্ত্রী। তখন তিনি কি করবেন নিজেই ধারনা করতে পারছিলেন না। পরে ওয়াদ এবং তার স্ত্রী মিলে সিদ্ধান্ত নেন ছেলেকে জমি জায়গা কিনে দেবেন এবং মেয়েকে কিছু টাকা দেবেন। বাকি টাকা ওনারা সংসারের কাজে খরচ করবেন।