কার বকেয়া ডিএ কত? ডেডলাইন দিয়েছে আদালত, নিখুঁত হিসেব করতে নয়া প্রযুক্তি নবান্নর

Published on:

WB DA Case

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে এখন একটাই দাবি – বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance)। আদালতের নির্দেশে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে পুরনো ইস্যু। আর এবার খাতায় কলামে হিসাব নয়, বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে নবান্ন। কারণ, কোন কর্মচারীর কত টাকা বকেয়া রয়েছে, তা নির্ভুলভাবে জানার জন্যই আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট বার্তা

জানিয়ে রাখি, গত 16 মে, সুপ্রিম কোর্টে দুই বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে, রাজ্য সরকারকে অন্তত 25 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা আগামী 27 জুনের মধ্যে মেটাতে হবে। শুধু তাই নয়, নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছিল যে, চার সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া মেটানোর রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। আর সেই সময় সীমা মাথায় রেখেই এবার জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। 

প্রযুক্তির সাহায্যে চলছে কর্মচারীদের হিসাব

অর্থ দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে নতুন ডিজিটাল পদ্ধতি তৈরি করার কাজ চলছে। আর এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত সরকারি দপ্তর, স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকার অনুমোদিত সংস্থার কর্মচারীরা নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে জানতে পারবে যে, তাদের কত বকেয়া রয়েছে। 

এমনকি এই পোর্টালের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে যে, কে কখন থেকে চাকরিতে যুক্ত রয়েছেন, কোন বছর থেকে কোন বছর পর্যন্ত কাজ করেছেন এবং ঠিক কত টাকা পর্যন্ত সে তিনি ডিএ পাবেন।

তবে কর্মচারীদের মনে একটাই প্রশ্ন, 2009 থেকে 2019, কোন সময়ের জন্য ডিএ দেওয়া হবে? অনেকে দাবী করছে, বকেয়া শুরু হয়েছে 2008 সালের এপ্রিল থেকে। আবার অনেকে মনে করছে, যেহেতু 2009 সাল থেকে রোপা কার্যকর হয়েছিল, তাই 2009থেকে 2019 সালের মধ্যে বকেয়া ডিএ দেওয়া হবে। তবে এটা আপাতত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। 

আরও পড়ুনঃ মাসে মাত্র ১০০ টাকা বিনিয়োগ ৬ লক্ষ টাকা আয়! ধামাকা স্কিম পোস্ট অফিসের

কর্মচারীরা কীভাবে তাদের তথ্য জানবেন?

নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকটি সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীরা IFMS পোর্টালে গিয়ে সরাসরি তথ্য জানতে পারবে। হ্যাঁ, 2009 সাল থেকে 2019 সালের মধ্যে নিজের চাকরির সময়সীমা এবং পদ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানা যাবে এই পোর্টালে। এমনকি নির্দিষ্ট পরিকাঠামো দাখিল করতে পারবে কর্মীরা। আর এর ফলে সরকারের কাছে স্পষ্ট হিসেব যাবে যে, কে কত ডিএ পাবে।

সঙ্গে থাকুন ➥