কপালে দুঃখ আছে! কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া নোটিস নবান্নর, থরহরিকম্প রাজ্যে

Published on:

nabanna mamata government employee

কলকাতাঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ওপর নারকিয়া হামলা খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলা তথা সমগ্র দেশ। জায়গায় জায়গায় চলছে বিক্ষোভ। শুধু তাই নয়, আর জি করে আবার দুষ্কৃতী হামলারও অভিযোগ উঠেছে। ফলে এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার রাজ্যজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম শরিক দল SUCI। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় SUCI কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। তবে এই ধর্মঘট ইস্যুতে নবান্নের তরফে চরম নির্দেশিকা জারি করা হল সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে। আপনিও যদি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং সরকারি কর্মী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই লেখাটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।

নির্দেশিকা জারি নবান্নের

WhatsApp Community Join Now

ধর্মঘট, বনধ যাইহোক না কেন রাজ্যের সব দফতরে সরকারি কর্মীদের যোগদান বাধ্যতামূলক করল নবান্ন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বিশেষ করে আজ পূর্ণদিবস, অর্ধদিবস বা ক্যাজুয়াল লিভ যাইহোক না কেন, কেউ কিছু নিতে পারবেন না। স্বশরীরে অফিসে হাজিরা দিতেই হবে। অর্থাৎ কেউ যদি এই ধর্মঘটের জন্য বাড়িতে বসে থাকেন তাহলে তাঁর কপালে দুঃখ লেখা রয়েছে।

তবে ১৪ আগস্টের আগে থেকে যারা শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়ে রয়েছেন তাঁদের এই নির্দেশিকার বাইরে রাখ হয়েছে। শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের কোনও প্রভাব রাজ্যে পড়বে না। পরিবহণ ব্যবস্থাও অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে রাজ্য সরকার।

১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে SUCI

আজ আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে টানা ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে SUCI । কয়েকদিন আগেই কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে এক মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের দেহ উদ্ধার হয়। সাত দিনের ব্যবধানে ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন নারীরা। ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে বুধবার রাতে যেভাবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হামলা হয়েছে, তার নিন্দা চলছে সর্বত্র।

এদিকে আজ SUCI-র ডাকা বনধের তেমন প্রভাব বাংলায় পড়েনি বলে দাবি করা হচ্ছে। বাস, ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বনধ হল বাস মালিকদের কাছে শাঁখের করাতের মতো। বাস নামলে যাঁরা বন্‌ধ ডেকেছেন, তাঁরা বাসের ক্ষতি করতে পারেন। আবার বাস না নামলে, প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে। এমন অবস্থায় বন্‌ধের দিন বাস রাস্তায় নামার পর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে, মালিকরা যাতে বিমা সংস্থার থেকে ঠিকঠাক ক্ষতিপূরণ পান সেটিও সরকারকে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

সঙ্গে থাকুন ➥
X