প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে যেকোনো ধরনের ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স (Trade License) করে নেওয়া খুবই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে এই ট্রেড লাইসেন্স বানানো নিয়ে নানারকম অভিযোগ উঠে আসছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কর বাবদ যতটুকু অর্থ বরাদ্দ করা উচিত তার থেকে বেশি পরিমাণে অর্থ নেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে। এই নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে নবান্নে। এমনকি সেই অভিযোগ নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশও করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষুব্ধ মমতা
গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের রাজ্যের এক প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই ট্রেড লাইসেন্সের নামে অতিরিক্ত কর আদায় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই পুর বা পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়তি করের বোঝা চাপানো যাবে না। তাই এবার এই প্রেক্ষাপটে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হল।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নগর উন্নয়ন দপ্তরের
সম্প্রতি রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে ট্রেড লাইসেন্স বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে সমস্ত ক্ষেত্রেই রাজ্যে ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্যের কিছু পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়ে থাকে কিন্তু এখন থেকে সেটি আর হবে না। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম বাড়তি টাকা আর দেবে না পুরসভাগুলি। আর এই একই নিয়ম জারি করা থাকবে ট্রেড লাইসেন্স রিনিউওয়ালের ক্ষেত্রেও।
এদিন পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন ফি-র মতো কোনও অর্থ না নেওয়ার বার্তা যেমন দেওয়া হয়েছিল ঠিক তেমনই কোনও ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কত টাকা নেওয়া যাবে, তারও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট, ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট, হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট এবং কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী এই ট্রেড লাইসেন্স বাবদ সর্বোচ্চ কত টাকা নেওয়া যাবে, তা ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায় ক্ষতি, এবার হাওড়ায় বন্ধ হচ্ছে একাধিক পোস্ট অফিস! কী হবে গ্রাহকদের?
কোন ক্ষেত্রে কত টাকা ধার্য হবে?
ইতিমধ্যেই এই নোটিশ সমস্ত পুরসভায় পাঠানো হয়েছে। এমনকি সেই নোটিশে এই বলা হয়েছে সমস্ত পুরসভা, নোটিফায়েড এরিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ এলাকার জন্য এক বছরে সর্বাধিক দেড় হাজার টাকা নেওয়া যেতে পারে ট্রেড লাইসেন্স বানানোর জন্য কর। অন্যদিকে কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল, বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং দুর্গাপুর পুরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স বানানোর ক্ষেত্রে ধার্য হবে আড়াই হাজার টাকা। পুরনো ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের জন্য নির্ধারিত ফি ছাড়া এক টাকাও বেশি নেওয়া যাবে না। এদিকে এই নির্দেশিকা আসার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন রাজ্যের সকল ব্যবসায়ীরা।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |