কলকাতাঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে উত্তাল সমগ্র দেশ। মৃতা ও মৃতার পরিবারের ন্যায্য বিচারের দাবিতে বাংলা সহ সমগ্র দেশজুড়ে চলছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের অবস্থান। ইতিমধ্যে একটা প্রশ্ন বারবার উঁকি দিতে শুরু করেছে যে বিশেষ কিছু জেনে যাওয়ার জন্যই কি প্রাণ দিয়ে মূল্য দিতে হল ৩১ বছর বয়সী ‘তিলোত্তমা’-কে? যাইহোক, নানা কিছুর মাঝেই এবার বিশেষ কর্মসূচি শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। লক্ষ্য মহিলাদের সুরক্ষা।
বিরাট উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
গতকাল শনিবার আচমকা সাংবাদিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি জানান, মহিলাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এক বিশেষ প্রকল্প চালু করা হল। আর এই প্রকল্পের নাম ‘রাত্তিরের সাথী’। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। স্বাভাবিকভাবেই আরজি কর-এর ঘটনার আবহে সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে চমক গিয়েছেন সকলে।
‘রাত্তিরের সাথী’ চালু করল সরকার
বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, হোস্টেল ও অন্যান্য অফিসে মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই বিশেষ প্রকল্প চালু করা হয়েছে সরকারের তরফে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রত্যেকটি অফিসে রেস্ট রুম এবং আলাদা করে মেয়েদের জন্য টয়লেট বানানো হবে। সেইসঙ্গে রাত্তিরের সাথী অ্যাপ চালু করা হবে। হাসপাতালগুলিতে আরও কড়া নিরাপত্তা জারি করা হবে। রাতে কর্মস্থলে বিশেষ বাহিনীর ব্যবস্থা করা হবে যারা কিনা সময়ে সময়ে টহলদারি চালাবে। হাসপাতালে মহিলাদের জন্য তৈরি করা হবে সেফ জোন। সিসি ক্যামেরার নজরে থাকবে সমগ্র হাসপাতাল। এমনকি মহিলা চিকিৎসকদের রাতে ডিউটি এড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রাতে পুরুষ-মহিলা নিরাপত্তা কর্মীর অনুপাত বজায় রাখতে হবে। হাসপাতালে হাসপাতালে বিশাখা কমিটি গঠন নিশ্চিত লক্ষ্য রাখতে হবে। হাসপাতালে মহিলাদের ১২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি নয়। এরইসঙ্গে সুরক্ষা নজরদারিতে স্থানীয় থানা থেকে সিকিউরিটি অফিসারকে নিয়োগ করতে হবে।