সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করা (Birth Certificate Rule) নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামী দিন থেকে চাইলেই সহজে আর জন্ম শংসাপত্র পাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। আসলে বেশ কিছু জায়গা থেকে এই বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে উঠে আসছিল। সেই ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতেই এবার চরম পদক্ষেপ নিল নবান্ন। আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক যে নবান্ন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে বড় পদক্ষেপ নবান্নের
সম্প্রতি নবান্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই ভাবছেন কী সেই সিদ্ধান্ত? নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন শুধুমাত্র পঞ্চায়েত প্রধানের সই থাকলেই মিলবে না জন্ম শংসাপত্র। এর জন্য ব্লক মেডিকেল অফিসার অফ হেলথ বা বিএমওএইচ-এর অনুমোদনের দরকার পড়বে। নতুন বাবা-মায়েরা কিংবা যারা বাবা-মা হবেন তাঁদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ যোগ্যদের পুনর্বাহল, বকেয়া DA সহ পাঁচ দফার দাবি! ফের নবান্ন অভিযানের ডাক
সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েতে জন্ম শংসাপত্র সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে চারিদিকে হৈহৈ পড়ে গিয়েছে। তবে এবার এই দুর্নীতিতে ব্রেক লাগাতে বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের পাশাপাশি বিএমওএইচ-এর অনুমোদন লাগবে।
নতুন নিয়মগুলি কী কী?
১) জন্ম শংসাপত্র পেতে গেলে, পঞ্চায়েত প্রধান সরাসরি সই করে তা ইস্যু করতে পারবেন না।
২) পঞ্চায়েত প্রধানকে ওই আবেদনের অনুমোদন নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিএমওএইচ-এর কাছ থেকে।
৩) যেই শিশুর নামে সার্টিফিকেট ইস্যু হবে, সেই পরিবার ও শিশুর অস্তিত্ব মাঠে গিয়ে যাচাই করবেন এলাকার আশা কর্মীরা। যাচাইয়ের পরে ওই রিপোর্ট জমা পড়বে বিএমওএইচ-এর কাছে।
৪) বিএমওএইচ সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে অনলাইনে জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে অনুমোদন দিলেই মিলবে জন্ম শংসাপত্র।
৫) এই পুরো প্রক্রিয়াটি রাজ্যের জন্ম-মৃত্যু পোর্টালের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে। যাতে কোনওরকম ভুয়ো আবেদন কিংবা অসত্য তথ্য দিয়ে জন্ম শংসাপত্র না জারি হয়, সেই জন্যই এই সতর্কতা ও যাচাই প্রক্রিয়া।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |