আসছে নতুন সিস্টেম, বালি চুরি রুখতে মাস্টার প্ল্যান নবান্নর, মমতার দাওয়াতেই হল কাজ

Published on:

mamata banerjee

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সময় যত এগোচ্ছে দুর্নীতির জট যেন আরও পাকাচ্ছে। নানা রকম দুর্নীতির সঙ্গে নাম জুড়ছে রাজ্য সরকারের। বালি, কয়লা, গরু, চাকরি দুর্নীতি কাণ্ডে রীতিমত গ্রেফতার হচ্ছেন শাসকদলের বেশ কয়েকজন দাপুটে নেতা। বিরোধীরা বার বার সেই অভিযোগ তুলছে। তবে এবার বালি চুরি রুখতে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। জট কাটবে একাধিক দুর্নীতিমূলক কর্মসূচির।

বালি চুরি প্রসঙ্গে ক্ষিপ্ত মমতা

WhatsApp Community Join Now

সম্প্রতি বালি চুরি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করেছিলেন নবান্ন থেকেই। তিনি বলেছিলেন, কয়েকজন কর্মী যারা সরকারকে ভালোবাসে না। পুলিশের কিছু লোক টাকা খেয়ে বালি চুরি, কয়লা চুরি সিমেন্ট চুরি করছে। তারপর বলা হচ্ছে তৃণমূল চুরি করছে। কিন্তু চুরি করছে সিআইএসএফ ও পুলিশ। এর আগেও এমন অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। সেবার নিশানায় রাখা হয়েছিল বিজেপিকে। তিনি বলেছিলেন, ‘অফিসাররা ভাগ দিচ্ছে বিজেপিকে। বাংলা থেকে মোটা টাকা খাচ্ছে বিজেপি। গরু কয়লা, পাথর, বালি সবথেকে বেশি খায় বিজেপি। টাকা যায় পুলিশের মাধ্যমে। ওভারলোডিং ট্রাক থেকে যায়। আমাদের কিছু লোক আছে…যাদের ED CBI না ধরে।’

বড় পদক্ষেপ গ্রহণ মুখ্যসচিবের

কিন্তু তার পরেও বিভিন্ন জেলা থেকে বালি চুরির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। তা রুখতেই তাই এবার মুখ্যসচিব সব জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সব জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। আর এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি।

আলোচনা করা হয় কীভাবে নদী থেকে বালি তোলা হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বড় নদীর ক্ষেত্রে যেমন দামোদর, অজয় নদীর ক্ষেত্রে মাইনিং কমিশনের সাহায্যে টেন্ডার ডাকা হবে। সেই টেন্ডারের মাধ্যমেই বালি বিক্রি করা হবে। আশা করা যাচ্ছে এই বৈঠকের মাধ্যমে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি হিসেবে প্রকাশিত হতে চলেছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X