প্রীতি পোদ্দার: আজ দ্বিতীয়া। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই শুরু হবে পুজো। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঢাকের আওয়াজে ঘুমের ঘোর কাটে সকলের। প্যান্ডেলের কাজ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও রাস্তাঘাটের বেহাল দশা নিয়ে বেজায় চিন্তিত প্রশাসন। তার উপর আবার চলতি বছর নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে একটানা বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাঘাট আরও ভেঙে পড়েছে। উত্তরবঙ্গেও ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে রাস্তার খুব বাজে দুর্দশা। সঙ্গে দোসর DVC র ছাড়া জল। যার ফলে বেশ দুর্যোগের ফাঁপরে পড়েছে সকলে।
রাস্তা মেরামতির কর্মসূচি জারি
অনেক জায়গায় আবার নিকাশি সংস্কারের কাজ চলতে থাকায় বেহাল অবস্থা হয়েছে রাস্তার। কোথাও ভাঙা রাস্তা কোথাও আবার বড় বড় গর্ত। খানাখন্দে ভরা। বিভিন্ন জেলায় রাস্তাঘাটের চিত্র ঠিক এরকমই প্রায়। এদিকে সামনেই পুজো। এবার এই রাস্তা মেরামতি নিয়ে বড় আপডেট দিল নবান্ন।
পুজোর আগেই রাস্তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ নবান্নের!
জানা গিয়েছে, নবান্নর তরফ থেকে পুজোর আগে জরুরি ভিত্তিতে গ্রামীণ এলাকায় বন্যা বিধ্বস্ত রাস্তা, কালভার্ট মেরামতির কাজ শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসকদের। এমনকি একটি রিপোর্টের আকারে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন বা অন্য তহবিলের টাকা থেকে খরচের হিসাব, মেরামতির খরচ সবটাই নির্ভুলভাবে তুলে ধরতে বলা হয়েছে জেলা শাসকদের। অন্যদিকে বন্যার্ত গ্রামবাসীদের দুর্যোগের সময় ত্রাণ বিতরণ করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে জলে ডুবে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা সারানোর প্রতিশ্রুতিও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পুজোর আগেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বর্ষায় বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে একই পর এক তীব্র মন্তব্য করে চলেছেন বিরোধীরা। কোথাও পিচ উঠে গিয়েছে। কোথাও আবার রাস্তায় তৈরি হওয়া বড় বড় গর্তে বৃষ্টির জল জমে ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তা সারানো নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতিও।