লটারি পেয়েই বৃদ্ধা মাকে ফেলে পরিবার নিয়ে উধাও ছেলে! রাত পোহাতেই ঘুরে গেল খেলা

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মাত্র 60 টাকার লটারি (Lottery) কেটেই ভাগ্য খুলে গিয়েছিল নদীয়ার শান্তিপুরের বাইগাছি, বিশ্বাস পাড়ার দিনমজুর শঙ্কর দে-র। তবে সুখবর পেতেই হঠাৎই গা ঢাকা দেয় শঙ্কর ও তাঁর গোটা পরিবার।

সূত্রের খবর, সহজ পথে না হেঁটে লটারি প্রাপ্তির পর থানার বদলে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন নদীয়ার ওই দিনমজুর। জানা যায়, এই সময়ে নিজের বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে রেখে গোটা পরিবার নিয়ে দূরে কোথাও লুকিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু কেন?

কোটি টাকা জিতে ঘুম উড়েছিল শঙ্করের

বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, অভ্যাসে নেই, তবে মাঝেমধ্যেই ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখার স্বার্থে লটারি কাটতেন নদীয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা শঙ্কর। এমনই একদিন নিজের ভাগ্য ফেরাতে 60 টাকার একটি ডিয়ার লটারির টিকিট কেটেছিলেন নদীয়ার দিনমজুর। পরবর্তীতে ফলাফল মিলিয়ে দেখতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁর। বুঝতে পারেন কোটি টাকা জিতেছেন তিনি। আর এরপরই ভয়ে একপ্রকার গুটিয়ে গিয়েছিলেন শঙ্কর।

সাধারণত লটারিতে পুরস্কার জেতার পর বিজেতারা নিকটবর্তী থানায় গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়, তবে তেমনটা করেননি শঙ্কর। জানা যায়, পুলিশ স্টেশনের পরিবর্তে অন্যত্র কোথাও নিজের পরিবার নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন নদীয়ার ওই বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন এ খবর জানতে পেরেই, নিজের বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে ফেলে রেখে হঠাৎই উধাও গিয়েছিলেন শঙ্কর। পাছে টিকিট চুরি হয়ে যায় সেই ভয়ে পুলিশের কাছেও যাননি তিনি।

জানা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত পরের দিন সকালে নিজের ভাইয়ের সাথে শান্তিপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে লটারি টিকিট জমা দিয়ে যাবতীয় কাজ মিটিয়েছেন নদীয়ার ওই লটারি বিজেতা। কিন্তু এই বিপুল অর্থ দিয়ে কী করবেন তিনি? ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী তাঁর?

অবশ্যই পড়ুন: নতুন মরসুমে কলকাতা লিগের এক গ্রুপে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান, কীভাবে হবে ডার্বি? জেনে নিন

কোটি টাকার পরিকল্পনা

লটারি কাটা নিয়ে প্রায়শই সংসারে চলতে অশান্তি! তবে স্ত্রীয়ের বারণ এড়িয়ে সংসারের বেহাল দশা ফেরাতেই 10-15 বছর ধরে নিয়মিত লটারি কেটে গিয়েছেন শঙ্কর বাবু। শেষ পর্যন্ত 2025-এ এসেছে সাফল্য। মাত্র 60 টাকার টিকিটে কোটি টাকা ঘরে তুলেছেন তিনি। কিন্তু এই বিপুল অর্থ দিয়ে ঠিক কী করবেন শঙ্কর দে?

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শঙ্কর বাবুর স্ত্রী জানান, এতদিন খুব কষ্টেশিষ্টে চলত সংসার। তবে ঈশ্বরের কৃপায় ভাগ্য ফিরেছে। এবার এই অর্থ দিয়ে স্বামী, সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। একই সুর শোনা গিয়েছে লটারি বিজেতার গলাতেও।