সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বকেয়া ডিএ (WB DA Case) নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ বহুদিন ধরেই চলছে। তবে সেই উদ্বেগের অবসান ঘটতে চলেছে এবার। কারণ নবান্ন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় অন্তত 25% বকেয়া ডিএ 6 সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কর্মীদের পরিশোধ করতে হবে। আর তার আগে অর্থদপ্তর ছক কষে ফেলেছে এক ডিজিটাল পদ্ধতির। হ্যাঁ, এর মাধ্যমে সহজেই নির্ধারণ করা যাবে, কে কতটা ডিএ পাবেন।
প্রযুক্তি দিয়ে জট কাটাতে চাইছে রাজ্য সরকার?
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার এবার একটি বেসরকারি সংস্থাকে নতুন সফটওয়্যার প্রযুক্তি তৈরীর দায়িত্ব দিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীরা নিজেরাই আপলোড করতে পারবে 2009 সাল থেকে 2019 তাহলে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তাদের কর্মজীবনের যাবতীয় তথ্য।
আর এই প্রযুক্তি ব্যবস্থার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের নিজস্ব অর্থনৈতিক পোর্টাল ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে। অর্থাৎ, প্রতিটি কর্মচারী এই পোর্টালে লগইন করে জানতে পারবে যে, কোন দপ্তরে কত দিন কাজ করেছেন এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে বকেয়া ডিএ।
কোর্টের কড়া নির্দেশ
জানিয়ে রাখি, গত 16 মে সুপ্রিম কোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে বলেছিল, রাজ্য সরকারকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ’র অন্তত 25 শতাংশ মেটাতে হবে। এমনকি চার সপ্তাহের মধ্যে ডিএ প্রদান সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট অর্থদপ্তরের কাছে জমা দিতে হবে। আর এই নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসেছিল নবান্ন। তবে কর্মীদের মধ্যে এখনো রয়েছে সংশয়।
আরও পড়ুনঃ ভারতে চরম দারিদ্র্যের হার ২৭.১% থেকে কমে ৫.৩%! কোথায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ?
অনেকে মনে করছে যে, 2008 সালের 1 এপ্রিল থেকেই বকেয়া ডিএ মেটানো উচিত। আবার অনেকে মনে করছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো 2009 সাল থেকে চালু হওয়ার রোপা অনুযায়ী ডিএ নির্ধারণ করা হবে। তবে রাজ্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, 2009 সালের জুলাই থেকে 2019 সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের মধ্যেই বকেয়া ডিএ নির্ধারণ করা হবে।
বলে রাখা ভালো, এর মাঝে মুখ খুলেছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, সরকার যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানে, তাহলে রাজ্যের মুখ্য সচিবের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। এখন দেখার প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কীভাবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নির্ধারণ করা হয়।