বাংলার ৫০% স্কুল পড়ুয়া খাচ্ছে না মিড ডে মিল! কেন? রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

সহেলি মিত্র, কলকাতা: বাংলার মিড ডে মিল সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এল। পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলিতে পরিচালিত হওয়া মিড ডে মিল (Midday Meal Scheme) নিতে বহু পড়ুয়া অস্বীকার করেছে বলে একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এদিকে এই সমীক্ষা প্রকাশে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন মিড ডে মিল নিতে পড়ুয়ার অস্বীকার করছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে কেন্দ্র।

মিড ডে মিল খেতে অস্বীকার পড়ুয়াদের!

সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে ২০২৪-২৫ সালে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ৪০% এরও বেশি শিক্ষার্থী মিড ডে মিলের খাবার খায়নি। অর্থাৎ সংখ্যাটি নেহাতই কম নয় কিন্তু। সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে ২০২৩-২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২৬ সালে ১০ লক্ষ কম শিক্ষার্থী মিড ডে মিল নিতে অস্বীকার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী পুষ্টি শক্তি নির্মাণ, একটি কেন্দ্রীয় স্পনসরড প্রকল্প, যার লক্ষ্য সরকারি এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা। প্রোগ্রাম অনুমোদন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সালে রাজ্যের ১৫টি জেলায় এই প্রকল্পে নথিভুক্ত ৪০% এরও বেশি শিক্ষার্থী মিড-ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেনি। কোচবিহারে সবচেয়ে কম ৪৬% শিক্ষার্থী মিড-ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেনি।

সমীক্ষায় চাঞ্চল্য

রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রোগ্রাম অনুমোদন বোর্ড আরও জানিয়েছে যে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৪-২৫ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পে শিক্ষার্থীর ভর্তির হার ৪.০১ লক্ষ কমেছে। প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮.০৪ লক্ষ কমেছে। কার্যবিবরণীতে আরও বলা হয়েছে যে রাজ্যে ২০২৫-২৬ সালের জন্য প্রস্তাবিত ভর্তির সংখ্যাও ৬ লক্ষ শিক্ষার্থী কমেছে।প্রোগ্রাম অনুমোদন বোর্ড জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক স্তরে প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণের আওতা ছিল ৭৮%, যেখানে প্রাথমিক স্তরে তা ছিল ৭৪%। তবে, উচ্চ প্রাথমিক স্তরে এই সংখ্যা তীব্রভাবে কমে ৫৮% এ দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুনঃ প্রতীক্ষার অবসান! ১৬ বছর পর শুরু হচ্ছে জনগণনা, কবে থেকে শুরু সমীক্ষা?

তথ্য অনুসারে, ২০২৪-২৫ সালে ১,১৩,৪৪,১৪৬ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় নথিভুক্ত হয়েছিল কিন্তু মাত্র ৭৭,৯১,৯৪৬ জন, অর্থাৎ প্রায় ৬৯%, মধ্যাহ্নভোজের খাবার পেয়েছে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, “রাজ্যকে অবিলম্বে এই তহবিল স্থানান্তর করার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন এবং বিলম্বের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”