প্রীতি পোদ্দার, শিলিগুড়ি: বিগত কয়েকদিন ধরেই রাতের দিকে নিউ জলপাইগুড়ি (New Jalpaiguri) থেকে কলকাতা আসার এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার আবেদন জানিয়ে আসছিল রেল যাত্রীরা। আসলে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছাড়া পদাতিক এক্সপ্রেসের পর NJP বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা যাওয়ার আর কোনও ট্রেন নেই। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোকে চিঠি পাঠান শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শংকর ঘোষ। আর তাতেই বিরাট উদ্যোগ নেওয়ার জোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। এর ফলে নতুন বছরে মদনমোহন এক্সপ্রেস চালু করার আশা আরও বাড়ছে।
নতুন বছরে নয়া এক্সপ্রেস ট্রেন
সম্প্রতি রেল সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই নয়া ধুবড়ি-শিয়ালদা মদনমোহন এক্সপ্রেসের প্রাথমিক টাইমটেবিল চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আর সেই টাইমটেবিল অনুযায়ী প্রত্যেকদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ট্রেনটি ধুবড়ি থেকে চালানো হবে। এরপর সেটি তুফানগঞ্জ, নিউ কোচবিহার, মাথাভাঙ্গা, নিউ চ্যাংরাবান্ধা, জলপাইগুড়ি রোড হয়ে রাত ১০টা ২০ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি এসে পৌঁছবে। এরপর সেখানে ১০ মিনিট হল্ট দেবে। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় ট্রেনটি এনজেপি থেকে শিয়ালদার উদ্দেশে যাত্রা করবে। উপকৃত হবে মুর্শিদাবাদ লাইনের যাত্রীরাও। কারণ ট্রেনটি যেহেতু নশিপুর সেতু দিয়ে চালানো হবে নিউ ফরাক্কা জংশনের পর ট্রেনটি জঙ্গিপুর রোড হয়ে আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর, পলাশি, বেথুয়াডহরি, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, নৈহাটি হয়ে শিয়ালদা পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৯টায়।
নির্ধারিত হয়নি এখনও ট্রেনের ভাড়া
জানা গিয়েছে মদনমোহন এক্সপ্রেস ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে প্রত্যেকদিন রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ধুবড়ির উদ্দেশে রওনা দেবে এবং পরের দিন দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ধুবড়ি পৌঁছাবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি কবে থেকে চালু করা হবে সেই ব্যাপারে কোনো খবর প্রকাশ্যে আসেনি। কারণ এই ট্রেন চালানোর আগে প্রয়োজন রেল বোর্ডের অনুমোদন। সেক্ষেত্রে একমাত্র অনুমোদন মিললেই যাবতীয় ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আর তখন এই ট্রেনের ভাড়াও নির্দিষ্ট করা হবে।
মদনমোহন এক্সপ্রেস চালু হওয়ার প্রসঙ্গে বাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী জানিয়েছেন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। কলকাতা থেকে যেমন অনেক রাতে ট্রেন ধরার সুবিধা রয়েছে, তা এখানে ছিল না। সেটা খুবই দরকার। তাই নয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ট্রেনটি চললে সকল মানুষ বেশ উপকৃত হবেন।