ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গত ৯ আগস্ট ডিউটিরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর থেকে হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মহিলা চিকিৎসকরা হোস্টেল চত্বরে নিরাপদ বোধ করছেন না, তাই তারা সবাই হোস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে খবর। তবে এখানেই শেষ নয়, এবার মেয়ের জন্য সুবিচারের দাবিতে রাস্তায় নামতে চলেছেন মৃতার বাবা ও মা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আর এই দাবিই করেছেন আন্দোলনকারীরা।
রাস্তায় নামছে বাংলার ‘নির্ভয়া’-র বাবা-মা
সমাজের এমন কোনও স্তরের মানুষ হয়তো বাকি নেই যারা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাননি। সিনিয়র থেকে শুরু করে জুনিয়র চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ, স্কুল কলেজ পড়ুয়া, সেলেবরা বাংলার নির্ভয়ার বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন। কিন্তু এবার তাঁর বাবা মাও আন্দোলনে সামিল হতে চলেছেন বলে খবর। এদিকে বৃহত্তর আন্দোলনে যদি তরুণী চিকিৎসকের বাবা ও মা যদি যোগ দেয় তাহলে বিক্ষোভের ঝাঁঝ যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
কী বলছেন নির্যাতিতা-র বাবা ও মা?
মৃত মেয়ের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন বাবা ও মা। তরুণী চিকিৎসকের বাবা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের পাশে আমরা আছি। প্রয়োজন হলে আমরাও যোগ দেব। আমরা বিচার চাই। বিহিত চাই। নিরপেক্ষভাবে যে আমাদের ডাকবে আমরা তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেব।’ অন্যদিকে তরুণীর মা বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের সঙ্গে থাকতে চাই। আমাদের মেয়ে চলে গিয়েছে। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এখন আমরা ছেলেমেয়ে মনে করছি। আমরা সবসময় ওদের পাশে থাকব।’
আরও পড়ুনঃ রাজ্য, সন্দীপ ঘোষকে ঝটকা! আর্থিক দুর্নীতি মামলাতেও CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
বলে দিই, আগামী ২৭ আগস্ট ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এবারের নবান্ন অভিযান অরাজনৈতিক বলেই দাবি করা হচ্ছে। ওদিকে এই কর্মকাণ্ড ঠেকাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা এই প্রতিবাদে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করবে না। এরপর ছাত্র সমাজের এই নবান্ন অভিযানে আর কোনও বাধা রইল না।