মাসের পর মাস কেটে গেলেও DA নিয়ে সুরাহা হতেই চাইছে না। দু’দফায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হলেও বাংলায় বিক্ষোভের লীলা যেন থামতেই চাইছে না। সকলের একটাই দাবি, কেন্দ্রীয় হারে অর্থাৎ ৫০ শতাংশ হারে বাংলার সরকারি কর্মীদেরও ডিএ দিতে হবে। যদিও এই বিষয়ে এখনো অবধি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। তবে এই ডিএ নিয়ে অপেক্ষার মাঝেই সরকারি কর্মীরা সুখবর পেলেন।
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন কী সেই সুখবর? সামনেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আসন্ন এই লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব গোটা দেশজুড়ে। এদিকে বাংলাতেও ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে রয়েছে। ভোট ও আন্দোলনের মাঝেই এবার বড় কথা জানালো রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর। এই অর্থ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দায়িত্বে নিযুক্ত থাকা প্রত্যেক কর্মচারী ২০১৪ সালের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ ফর অল এমপ্লয়িজ অ্যান্ড পেনশনার্স ক্যাশলেস মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট স্কিম’-র আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
এদিকে রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন খোদ শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী। তিনি জানান, ‘ভোটকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, যে কোনও অবস্থায় ভোটকর্মী অসুস্থ হলে বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে অথবা আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায় কমিশন তথা সরকারকে নিতে হবে। তা নিয়ে বহু সমস্যায় পড়তে হত ভোটকর্মীদের। সেই দাবি মেনে ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধার নোটিশ প্রকাশিত হল। দাবি মেনে নেওয়ার জন্য এই নোটিশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। প্রত্যেক ভোটকর্মী যথাযথভাবে যেন সেই বিষয়টির সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
দীর্ঘদিন ধরে এই শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের কর্মীরাও মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ডিএ ইস্যুতে সুর চড়িয়ে আসছেন। তবে সরকারের চিকিৎসা পরিষেবার সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি সকলে। এই স্কিমের আওতায় চালক-সহ ভোটের কাজে থাকা যে কোনও ব্যক্তি সেই সুবিধা পাবেন।
আরও জানা যাচ্ছে, এই ২০১৪ সালের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ ফর অল এমপ্লয়িজ অ্যান্ড পেনশনার্স ক্যাশলেস মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট স্কিম’-র আওতায় না থাকা প্রত্যেক ‘স্টেট আর্মড পুলিশ’, রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ, হোমগার্ড, ফার্স্ট লেভেল চেকিং, ইভিএম কমিশনিং, ভোটের দিন এবং ভোটগণনার দিনের কর্মরত থাকা বিইএল বা ইসিআইএল ইঞ্জিনিয়াররা সেই সুবিধা পাবেন।