প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যের পুর-এলাকাগুলিতে সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে এর আগে একাধিকবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। আর এবার নবপ্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে আর অফিসে গিয়ে শহর কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় নিজের বাড়ি ও সম্পত্তির কর দিতে হবে না। এখন সম্পূর্ণটাই হবে অনলাইনে। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নিন বিস্তারিত।
কবে থেকে চালু হবে নতুন প্রক্রিয়া?
সম্প্রতি নবান্নের তরফে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে সম্পত্তি কর জমার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এর ফলে নতুন হিসেবে কর দিতে হবে বাসিন্দাদের। এদিকে এতদিন ধরে পঞ্চায়েতগুলির কর নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা ত্রুটি উঠে আসছিল অভিযোগের ভিত্তিতে। কিন্তু এবার সেটা আর হবে না। তার অন্যতম কারণ হল অনলাইন প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক পঞ্চায়েতকে জানিয়ে দিয়েছে করদপ্তর। তবে সম্পূর্ণ পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে আগে দেখা হবে যে অনলাইনে ঠিকমতো কর জমা হচ্ছে কি না, সেটি একমাস ধরে হবে। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে তারপর থেকে পুরোদমে তা চালু হয়ে যাবে।
তথ্য সঠিকভাবে আপলোডের নির্দেশ
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছিল যে কীভাবে এই কর আদায় করা যাবে অনলাইনে। তা নিয়ে যদিও দফায় দফায় পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বৈঠক করেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে যেমন ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে শহর কলকাতায় মানুষ তাঁর নিজের কর জমা করেন, ঠিক একই উপায়ে এবার নিজের কর জমা করবেন পঞ্চায়েত এলাকার মানুষও। এই প্রক্রিয়া শুরু করার আগে প্রত্যেক পঞ্চায়েতকে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাদের সম্পত্তি কর কত হতে পারে সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য পোর্টালে আপলোড করতে হয়েছে। তার জন্য প্রত্যেকে একটি করে ফর্ম ফিলাপ করে পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিয়েছেন।
এই ফর্মে প্রতিটি পরিবারকে লিখতে হয়েছে তার কি ধরনের বাড়ি, ক’টা ঘর, ওই সম্পত্তির বর্তমান বাজার দর কত হতে পারে প্রভৃতি। পরিবার পিছু কর নির্ধারণ করা হয়েছে তার ভিত্তিতেই। এখনও পর্যন্ত যা হিসেব, তাতে ১ কোটি ৬৫ লক্ষের বেশি বাড়ির তথ্য আপলোড হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন পঞ্চায়েতে বিপুল পরিমাণ করের টাকা বকেয়া রয়েছে। তাই যাঁদের পুরনো হিসেবে কর বাকি রয়েছে, সেসব এখনই তাঁদের মিটিয়ে দিতে হবে। বকেয়া টাকা সংগ্রহ করতে বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই শিবির করা হয়েছে।