স্কুলের প্রার্থনা সভায় ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ বাধ্যতামূলক করল সরকার, কবে থেকে চালু?

Published:

banglar mati banglar jol morning prayer
Follow

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বাংলার স্কুলগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গাইতে হবে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ (Banglar Mati Banglar Jol) গীত । রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বৃহস্পতিবার সমস্ত সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিকে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির সকালের প্রার্থনা সভায় “বাংলার মাটি বাংলার জল” গাওয়া বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে।

স্কুলের প্রার্থনা সভায় “বাংলার মাটি বাংলার জল” বাধ্যতামূলক করল সরকার

১৯০৫ সালে নোবেল জয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি লিখেছিলেন। “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি অনুসারে, প্রতিটি রাজ্য পরিচালিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে এখন থেকে প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে থাকবে,” বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি X পোস্টে বলেছেন।

শিক্ষা মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি এটিও গাওয়া হবে। তিনি লেখেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালে রচিত বিখ্যাত “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটি বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য অনুমোদিত হল। কবি কর্তৃক রচিত ভারতের জাতীয় সঙ্গীত “জনমনগণ অধিনায়ক জয় হে”র প্রতি বিদ্যালয়ে নিয়মিত গাওয়ার পাশাপাশি, এই রাজ্যসঙ্গীত গীত হলে, তা সমগ্র রাজ্যের সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যর বিশেষ অনুঘটক হিসেবে সর্বদা সজাগ ও সক্রিয় থাকবে বলে আমরা দৃঢ়বিশ্বাসী।’  এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সেক্রেটারি সুব্রত ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, “এ বার থেকে স্কুলগুলিতে প্রার্থনাসভায় এই গান বাধ্যতামূলক।” তবে কবে থেকে চালু হবে, সে বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি।

শুরু বিতর্ক

সরকারি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সঙ্গীতকে প্রার্থনাসঙ্গীত করে তোলাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র সরকার বলেন, “প্রার্থনাসঙ্গীত হিসাবে এই গান সকালে গাওয়া যেতেই পারে। রবীন্দ্রনাথের এই গানটির সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে। বঙ্গভঙ্গের সময় এই গানের রচনা। সব স্কুলেই প্রার্থনা হয়। মাদ্রাসা বা মিশনারি স্কুলেও তা হয়। কিন্তু সব কিছু সরকার এ ভাবে চাপিয়ে দিতে পারে না।”

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join