প্রীতি পোদ্দার: দেখতে দেখতে আরজি কর ঘটনার প্রায় ১ মাস অতিক্রম হতে চলল। কিন্তু বিচার এখনও অধরা। CBI একের পর এক তথ্যের ভিত্তিতে সত্যের উদঘাটন করার জন্য দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চারিদিকে। আর ঠিক তেমনই তিলোত্তমার সঠিক বিচারের দাবিতে রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ চালাচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জুনিয়র চিকিৎসকরা।
সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসকরা
প্রথম থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশেই ছিলেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। শুরুর দিন থেকে তাঁদের সমর্থনও জানিয়ে এসেছেন তাঁরা। এমনকি জুনিয়র চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করে দিলে তারাও কর্মবিরতির ডাক ডাকবে বলে প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। তবে এ বার সিনিয়র ডাক্তারেরা চাইছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন, প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পূর্ণ কর্মবিরতির পথ থেকে যেন সরে আসুন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আরজি করের অডিটোরিয়ামে এই বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় এমনই মত প্রকাশ করেন সিনিয়রদের একাংশ। আরজি করের এক সিনিয়র ডাক্তার তাপস প্রামাণিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, কর্মবিরতি তুলে নিয়ে যদি অন্য কোনও ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়টি বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে কি না, সেটি পুরোপুরি জুনিয়র ডাক্তারদের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করছে।
অনশনের সিদ্ধান্তে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা
এরপর সিনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকের পর গতকাল রাত ৮ টায় ফের বৈঠকে বসেন সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। টানা ১০ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। সকল জুনিয়র চিকিৎসকরা তাদের নিজেদের মতামত পেশ করেন। সকাল ৬ টায় শেষ হয় বৈঠক। সেই বৈঠক প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকরা মূলত রোগীদের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কর্মবিরতি থেকে পুরোপুরি সরে আসবেন তারা। তবে আন্দোলন থামবে না। আগামী সোমবার থেকে চলবে আমরণ অনশন। অর্থাৎ পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রূপে পরিবর্তিত হয়ে এখন অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যা অভয়ার বিচার না মেলা পর্যন্ত জারি থাকবে।
প্রসঙ্গত, আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে টানা কর্মবিরতি চালিয়ে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা আংশিক ভাবে কাজে ফিরেছিলেন। তবে সম্প্রতি সাগর দত্তের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ১ অক্টোবর থেকে ফের ১০ দফা দাবিতে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা।