পুলিশি অত্যাচার, মোটা ফাইন, হেনস্থা! অভিযোগ তুলে বড় সিদ্ধান্ত, তেল মিলবে পাম্পে?

Published on:

petrol pump

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন ট্যাঙ্কার চালক এবং খালাসীরা। ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোতে শনিবার থেকে শুরু হল কর্মবিরতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। বন্ধ হয়ে গিয়েছে তেল সরবরাহ। ফলে মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের। কলকাতা থেকে শুরু করে হাওড়া এবং অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায় তেল নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

হু হু করে ফুরোচ্ছে তেল?

জানা গিয়েছে, মৌরিগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোতে গতকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে ট্যাঙ্কার চালক এবং খালাসিদের। এর ফলে তেল সরবরাহ ব্যবস্থা জেলায় জেলায় খুব খারাপভাবে ভেঙে পড়েছে। কলকাতা থেকে শুরু করে হাওড়া, হুগলী, দুই ২৪ পরগনায় একদমই বন্ধ তেল সরবরাহ ব্যবস্থা। যদি এই কর্মবিরতি চলতে থাকে তাহলে পেট্রোল পাম্পগুলি (Petrol Pump) একদম ড্রাই হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, শহর, জেলার পাম্পগুলিতে হু হু করে তেল ফুরিয়ে যেতে পারে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়শনের আশঙ্কা, তেল ফুরিয়ে যেতে পারে জায়গায় জায়গায়। নিশ্চয়ই ভাবছেন আচমকা কেন এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন ট্যাঙ্কার চালক এবং খালাসিরা? সেক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, সম্প্রতি দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে মেরামতি এবং নির্মাণ কাজের জন্য হাওড়া সিটি পুলিশের তরফ থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে মৌরিগ্রামের ট্যাংকার চালক এবং খালাসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অয়েল ট্যাঙ্কার যেতে পারে। বাকি সময়ে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অনেকের অভিযোগ, পুলিশ রীতিমতো অত্যাচার শুরু করেছে।

কর্মবিরতির ডাক ট্যাঙ্কার চালকদের

আগে নিয়ম ছিল সকাল ৯টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ট্যাঙ্কার চলাচল বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল মাত্র তিন ঘণ্টার। আর এখন মাত্র চার ঘণ্টা ট্যাঙ্কার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই এই প্রতিবাদ। শুধু তাই নয়, এক ট্যাঙ্কার চালক অভিযোগ করেন, রাস্তায় পুলিশ যখন-তখন ধরে তাঁদের কেস দিচ্ছে এবং মোটা টাকা ফাইন করছে। নানাভাবে হেনস্থা করছে বলেও অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে ট্যাঙ্কারে তেল তোলা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

জানলে অবাক হবেন, মৌরিগ্রাম ডিপোতে কমপক্ষে ৩০০ ট্যাঙ্কার আটকে পড়ে রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে এই ব্যাপারে হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার এবং প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ট্যাঙ্কার মালিকরা। তবে কতটা কী ঠিক হবে সেই নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥