পৌরসভার মাধ্যমে মিলবে বার্ধক্য ভাতা, নতুন নিয়ম কার্যকরের পথে কলকাতা পুরসভা

Published on:

Old Age Pension

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। এবার কলকাতার প্রবীণ নাগরিকদের বার্ধক্য ভাতা (Old Age Pension) পেতে আর বিধাননগরে ছোটাছুটি করতে হবে না, এবার পৌরসভাতেই মিটবে ঝামেলা। রাজ্যের মন্ত্রীসভার সিলমোহরের পর কলকাতা পৌরসভা কোমর বেঁধে নেমে পড়ল বাস্তবায়নের কাজে। ফলে প্রবীণ নাগরিকরা যে স্বস্তি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

নিয়মে কী পরিবর্তন আনা হল?

জানিয়ে রাখি, এতদিন কলকাতার বাসিন্দাদের বার্ধক্য ভাতা পেতে হলে কন্ট্রোলার অফ ভ্যাগ্রেন্সি’র অনুমোদনের দরকার পড়ত। কিন্তু আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এবার সেই দায়িত্ব কলকাতা পৌরসভা কমিশনার নিজেই নিচ্ছে। অর্থাৎ, এখন থেকে বার্ধক্য ভাতার আবেদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন, সবটাই কলকাতা পৌরসভার মাধ্যমেই হবে। শহরের প্রবীণ নাগরিকদের আর বারবার বিধাননগরের দপ্তরে গিয়ে হাজির হতে হবে না।

রাজ্যের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরেই কলকাতা পৌরসভার শীর্ষ আধিকারিকরা মঙ্গলবার জরুরী বৈঠক সেরে ফেলেছেন। কীভাবে সরবরাহের প্রতিটি ওয়ার্ড এবং বরো অফিসকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত ও সহজে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে কমিশনার ধবল জৈনের নেতৃত্বে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক পৌর আধিকারিক জানিয়েছেন, এতদিন প্রবীণ নাগরিকদের একাধিকবার বিধাননগরে যেতে হত। আর এবার আমরা বরো ও ওয়ার্ড অফিসগুলির মাধ্যমে সেই ভোগান্তি কমাতে চাইছি।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

কীভাবে আবেদন প্রক্রিয়া বদলাবে?

প্রসঙ্গত, আগে প্রবীণ নাগরিকদের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বা নিজস্ব উদ্যোগে আবেদন করতে হত। আর সেই আবেদন পৌরসভা হয়ে সমাজ কল্যাণ দপ্তরের বিধাননগর অফিসে যেত। এমনকি সেখান থেকেই অনুমোদনের পর ভাতা মিলত।

আর এখন নাগরিকরা সরাসরি ওয়ার্ড বা বোরো অফিসের মাধ্যমেই আবেদন জমা দিতে পারবে। সেই আবেদন সরাসরি কলকাতা পৌরসভার মূল সদর দপ্তরে পৌঁছে যাবে। তারপর কমিশনার অনুমোদন দিলেই ভাতা কার্যকর করা হবে।

আরও পড়ুনঃ চন্দ্রগ্রহণ সময়সূচী ২০২৫: সেপ্টেম্বরে দেখা যাবে ব্লাড মুন, কবে কোথা থেকে দৃশ্যমান হবে জানুন

যেহেতু কলকাতায় এখনো প্রচুর পরিমাণে প্রবীণ নাগরিক রয়েছে, যাদের পক্ষে চলাফেরা করা সত্যিই কঠিন, তাদের জন্যই এই পদক্ষেপ। কারণ, তাদের আর সরকারি দপ্তরে গিয়ে বারবার আবেদন করার দরকার পড়বে না। পাশাপাশি নতুন এই প্রক্রিয়া তাদের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দেবে। আর নাগরিকদের মধ্যে সরকারের পরিষেবার উপর আস্থাও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে যদিও এই নির্দেশিকা এখনো লিখিত আসেনি। তবে কলকাতা পৌরসভা জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে। দ্রুত প্রশাসন এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group