প্রীতি পোদ্দার, বর্ধমান: গত মাসে বর্ধমান (Bardhaman) মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসের একাংশের চাঙড় ভেঙে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এলাকা জুড়ে। ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল ছাত্রাবাসের বসবাসকারীরা। এমতাবস্থায় শনিবার আচমকা ভেঙে পড়ল বর্ধমান হোমিওপ্যাথি কলেজ এবং হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিল্ডিং এর পিছনের পুরানো বিল্ডিং-এর একাংশ। বিকট আওয়াজে শোরগোল পরে গেল এলাকা জুড়ে।
ভেঙ্গে পড়ল কলেজের পুরানো বিল্ডিং-এর একাংশ
রিপোর্ট অনুযায়ী গত শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ আচমকায় ভেঙে পড়েছিল বর্ধমান হোমিওপ্যাথি কলেজ এবং হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিল্ডিং এর পিছনের পুরানো বিল্ডিং-এর একাংশ। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, এই বিল্ডিংটি প্রায় ২০০ বছরেরও বেশী পুরোনো বর্ধমান রাজাদের সময়ের। সৌভাগ্যবশত এই বিল্ডিং ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। যদিও অনেকদিন আগেই কলেজের ওই অংশটিকে পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করেছিল বর্ধমান পুরসভা।
শিলান্যাস হলেও হয়নি কাজ
বর্ধমান হোমিওপ্যাথি কলেজ এবং হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে এমার্জেন্সি বিল্ডিং এর পিছনের পুরানো বিল্ডিংটি একসময় মন্দির ছিল, সাংস্কৃতিক টোল ছিল, এখানে বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ আসতেন সাংস্কৃতিক কলেজে পড়াশোনা করতে, এমনকি অনেকে পুজোও দিতে আসতেন বেশ জনপ্রিয় ছিল জায়গাটি। কিন্তু কালক্রমে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে এই স্থানটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় পরিণত হয়েছে। শোনা যায় ২০২৩ সালে বিধায়ক খোকন দাস মহাশয় সেখানে বিল্ডিং তৈরি করবেন বলে শিলান্যাস স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বছর ঘুরলেই বাস্তবের রূপ নিল না। আর তার মাঝেই ঘটে গেল এই ভয়ংকর বিপত্তি।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায় ধৃত ৫, দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্তসহ সবাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ
বর্ধমান হোমিওপ্যাথি কলেজের ডাইরেক্টর অসীম কুমার সামন্ত জানান, “আমাদের কলেজে নব কাটারি নামে এক কর্মী ছিলেন। তাকে আমাদের কলেজের পূর্বে প্রিন্সিপাল থাকতে দিয়েছিলেন পরবর্তীতে তিনি মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী কাজটি পান এবং তিনিও ওখানে থাকেন। তাকে সেখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ বাড়িটি পরিত্যক্ত কিন্তু তিনি ওঠেননি। এ বছর একটানা বৃষ্টি হওয়ায় বাড়ির ভীত দুর্বল হয়ে ভেঙে পরে। ইতিমধ্যেই রাবিস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে এবং পরবর্তীতে কলেজের কাজেই ব্যবহার করা হবে জায়গাটি।