প্রীতি পোদ্দার, কসবা: দুর্গাপুরেও গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেখানকার বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পাঁচজনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছেন চার জন। আর এই আবহে পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা ও বিরোধীদের একাংশ। এমতাবস্থায় কসবায় ( Kasba)গণধর্ষণ কাণ্ডে ফের নয়া এক আপডেট প্রকাশ্যে এল।
কসবা কাণ্ডে জড়িত নিরাপত্তারক্ষী
গত ২৫ জুন কসবা আইন কলেজে পাঠরত এক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল কলকাতাবাসী। অভিযোগ ওঠে, ঘটনার দিন কলেজের মূল দরজা বন্ধ করে নাকি মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয় সিকিউরিটি গার্ডের রুমে। শুধু গণধর্ষণ নয়, হকিস্টিক দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী নির্যাতিতা কাউকে যাতে কেউ কিছু না জানায় সেই ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। আর সেই সময় ডিউটিতে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায়। সব কিছু দেখেও তিনি চুপ ছিলেন। আর সেই কারণে তাঁর ভূমিকা নিয়ে এবার সমান প্রশ্ন ওঠে।
জামিন পেলেন অভিযুক্ত
এরপর কসবার এই গণধর্ষণ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র-সহ আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুধু তাই নয়, ঘটনার দিন ল’কলেজে ডিউটিতে থাকা ওই নিরাপত্তারক্ষী পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায় সবকিছু জেনেও চুপ ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি সিসিটিভিতেও অভিযুক্ত পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা যায়। তাই তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে এবার সেই ঘটনায় মাত্র চার মাস পরে জামিন পেলেন ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী। আজ অর্থাৎ সোমবার আলিপুর আদালতে কুড়ি হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এই জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বর্ধমান হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের প্রাচীন বিল্ডিং!
অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন পাওয়ার পর এদিন তাঁর আইনজীবী বলেন, “নিরাপত্তারক্ষীকে জেলা আদালত চারমাসের মধ্যে জামিন দিয়েছে। আমরা কিছু তথ্য দেখাই, যে উনি ভয়ে ছিলেন তাই কিছু করার ছিল না। ওই কলেজের অন্য নিরাপত্তারক্ষীরাও বলেছেন যে আমার মক্কেলের কিছু করার ছিল না পরিবেশটাই এমন ছিল সেখানকার। এখনও সম্পূর্ণ চার্জশিট জমা পড়েনি। সিসিটিভি ফুটেজও দিতে পারেনি।” তবে এখনও জেলেই রয়েছেন মূল অভিযুক্ত সহ আরও দু’জন।