‘এই টাকা দিয়ে খাবে’, অনশন মঞ্চে গিয়ে নিজের জমানো পুঁজি দিয়ে এল ৯ বছরের বালক

Published on:

doctor’s protest

প্রীতি পোদ্দার: ২ মাস অতিক্রম। এখনও তিলোত্তমার কোনো সুবিচার পাওয়া গেল না। এদিকে উৎসবের মহড়ার মাঝেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল একাংশ সাধারণ মানুষ। সমর্থন জানিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন অনেকেই। পাশাপাশি একজোট হয়েছে চিকিৎসকদের আন্দোলন। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অনশন-প্রতিবাদ-বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছে অনবরত। আন্দোলনরতদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অনেকেই ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন এখনও চুপ।

ছোট্ট পিগি ব্যাঙ্ক নিয়ে হাজির ছোট্ট আদিত্য

WhatsApp Community Join Now

দিনের পর দিন অনশন করেই যাচ্ছে অনশনকারীরা। না খেয়ে প্রশাসনের সিস্টেমের বিরুদ্ধে হয়ে চলেছে একের পর এক প্রতিবাদ। আর এই প্রতিবাদের ভিড়ে ডাক্তার দাদা-দিদিদের কথা ভেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে এসেছে পঞ্চম শ্রেণীর ছোট্ট আদিত্য। ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাদের হাতে তুলে দিল ছোট্ট পিগি ব্যাঙ্কটি। সকাল সকাল পরিবারের সদস্যদের হাত ধরে অনশন মঞ্চে পৌঁছে সোজা চলে যায় অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে। এরপর তাঁদের হাতে তুলে দেয় ছোট্ট ভাণ্ডার।

নয় বছরের এই ছোট্ট আদিত্য সত্যিই বোঝে না আন্দোলন, প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ। কিন্তু তার এই ছোট্ট মাথায় সে এটুকু বুঝেছে যে ডাক্তার দাদা-দিদিরা দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে রয়েছে। খবর না খেয়ে করছে অনশন। সেইটুকু বুঝেই নিজের পিগিব্যাঙ্ক নিয়ে হাজির ওই খুদে। আদিত্য অনশনকারীদের বলছে, “ডাক্তাররা প্রতিবাদ করছে। না খেয়ে রয়েছে। এটা শুনে আমি বাবাকে বলেছি যে আমি ডাক্তারদের টাকা দেব। যাতে ওঁরা প্রতিবাদ করতে পারে।”

আন্দোলনে যোগ দিয়েছে আট বছর বয়সি অস্মিতাও!

এই প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, “প্রথমে আমরা ওর জমানো লক্ষ্মীর ভাঁড়ের টাকা নিতে চাইছিলাম না। শেষপর্যন্ত ওর আবদার ফেলতে পারিনি। ওকে কথা দিয়েছি যে অভয়া দিদির বিচারের জন্য যতদূর যেতে হয়, ততদূর যাব আমরা। কিন্তু লড়াই ছাড়ব না। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। যতক্ষণ না হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, ততক্ষণ লড়াই চলবে। এই সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত না পর্যন্ত লড়াই চলবে।” অন্যদিকে হাওড়ার আট বছর বয়সি অস্মিতাও না খেয়ে মায়ের হাত ধরে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে এসে দাদা দিদিদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের মনোবল শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥