প্রীতি পোদ্দার: পঞ্জিকা অনুযায়ী চলতি বছর দুর্গাপুজো সুসম্পন্ন হলেও বাঙালির মনে এখনও উৎসবের রেশ কাটেনি। এবার প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। ‘আসছে বছর আবার হবে’ ধ্বনি দিয়ে আবার গোটা এক বছরের অপেক্ষা। এবার পুজো কার্নিভালের পালা। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রেডরোডে জমকাল কার্নিভাল দেখবে রাজ্যবাসী। থাকবেন দেশ-বিদেশের বহু বিশিষ্ট অতিথি। কলকাতা ও শহরতলির নির্বাচিত পুজোগুলি আসবে কার্নিভালে। রেড রোডে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পথে। কিন্তু এই আবহেই এবার মাত্র ৭ টি ক্লাব নিয়ে পুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
পুজোর কার্নিভালের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে পুজোর কার্নিভাল। এই বছরেও তার ব্যতিক্রম নেই। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে পুজো কার্নিভাল। কিন্তু এই আবহে এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে অনুষ্ঠিত পুজোর কার্নিভালের চিত্র খানিকটা অন্যরকম হলো। এই কার্নিভালটি বালুরঘাট বিএম হাই স্কুল থেকে শুরু হয়ে বালুরঘাট ব্রিজ কালি পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু এদিনের কার্নিভাল প্রায় ৭ টি ক্লাব অংশগ্রহণ করতে চলেছে। যার মধ্যে বেশির ভাগই বালুরঘাট পুরসভা এলাকার। এছাড়াও এবারে পুজো উদ্যোক্তাদের সংখ্যা খুব কম কার্নিভালে।
কেন কমল পুজো উদ্যোক্তাদের সংখ্যা?
চলতি বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর অনুদান আগের বারের তুলনায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে। কিন্তু তবুও এবছর পুজো উদ্যোক্তাদের সংখ্যা কমে গেল। আর এর পিছনে আসল কারণ হিসেবে উঠে এল এক নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, গতবারের তুলনায় এবারে পুজোর সরকারি অনুদান বেশি দেওয়া কার্নিভাল করতে গেলে অতিরিক্ত খরচ হয় ৷ যা সরকার বা প্রশাসন দেয় না। যার ফলে সব দিক থেকেই সমস্যা হয় পুজো উদ্যোক্তাদের ৷ তাই গতবার ১৫ টি ক্লাব অংশগ্রহণ করলেও এবার তা মাত্র ৭ এ এসে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছর বালুরঘাটে পুজো কার্নিভালের জন্য মূল মঞ্চটি করা হয়েছে বালুরঘাট সার্কিট হাউস সংলগ্ন এলাকায়। এদিন বিকেল থেকে এই কার্নিভাল শুরু হয় ৷ কার্নিভাল দেখতে দূর দূরান্ত থেকে লোক উপস্থিত হয় বালুরঘাট সার্কিট হাউস প্রাঙ্গনে৷ আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা ও সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা, জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।