প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়। আর এই একই গত বছরের অক্টোবরে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু প্রাথমিকে ইডির মামলা থেকে আগেই জামিন পেলেও সিবিআইয়ের মামলা এখনও চলছে। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৮ জন ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করে ক্রমাগত অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে সিবিআই। এমনকি দীর্ঘ সময় ধরে জামিন আর্জির শুনানি চলেছিল বিশেষ সিবিআই আদালতে। অবশেষে আজ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে এই মামলার বড় রায় উঠে এল।
জামিন মামলায় বড় রায় বিচারকের
জানা গিয়েছে আজ বিচার ভবনে সিবিআইয়ের মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক শুভেন্দু সাহা। তিনি বলেন, ‘‘চার্জশিট এবং যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এটা স্পষ্ট যে, নিয়োগ মামলায় সরাসরি যোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর।’’ এছাড়াও এই মামলায় আদালত আরও জানিয়েছে যে, “আত্মপক্ষ সমর্থনে যথাযথ কোনও যুক্তি দেখাতে পারেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবং এই পর্যন্ত পাওয়া যাবতীয় তথ্যের ভিত্তিতে, পার্থকেই নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অন্যতম ‘মাথা’ বলে চিহ্নিত করেছে আদালত।” এছাড়াও বিচারক আরও বলেন যে “এই মূহূর্তে তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এখন যদি পার্থকে জামিন দেওয়া হয় তাহলে তদন্তপ্রক্রিয়ায় বড় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।”
দুর্নীতির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড পার্থ!
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে শারীরিক ভাবে অবনতি হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু তারপরও কোনোভাবেই জামিন পাচ্ছেন না তিনি। এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিন মামলা খারিজ করেছিলেন আদালতের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। এবারেও সেই জামিন খারিজ করল বিচারক। এমনকি এই জামিন আর্জির শুনানি পর্বে পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে প্রাথমিকের OMR শিট নষ্ট করার অভিযোগও তোলে সিবিআই। এবং, গোটা নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই, সেটাও তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি, গ্রুপ ডি কর্মীদের ঝটকা! বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
এদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আজ এক গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদান করেছে। কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল মামলায় নতুন করে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর আজ সেই মামলার শুনানিতে বড় রায় দেয় শীর্ষ আদালত। জানানো হয়েছে চিহ্নিত অযোগ্যদের বাদে বাকিরা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। অবশেষে চাকরিহারাদের সাময়িক স্বস্তি। তবে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ- ডি কর্মীদের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাঁদের পুরোনো নির্দেশই বহাল থাকবে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |