কলকাতাঃ হাতেগোনা আর মাত্র ৭০টা দিন, ব্যস তারপরেই সমগ্র বাংলার মানুষ দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠবেন। ইতিমধ্যে জায়গায় জায়গায় পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কুমোরটুলিতে তৈরি হচ্ছে মা দুর্গার মূর্তি। সব মিলিয়ে সকলের মধ্যে এখন বেশ একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এদিকে এই পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো আয়োজিত ক্লাবগুলির। কারণ চলতি বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর অনুদান বেশ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এত পরিমাণে অনুদানের টাকা কোথা থেকে এল তা নিয়ে মামলা উঠল কলকাতা হাইকোর্টে।
দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে তদন্তের দাবি
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে এই বছর দুর্গাপুজো কমিটির জন্য ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা বাড়ানো হবে। প্রতিটি পুজো কমিটি এখন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে মোট ৮৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর ভাতা আরও ১৫ হাজার টাকা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই টাকা নিয়েই ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’ দেখতে পাচ্ছে অনেকে। যে কারণে এবার দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে তদন্তের দাবি করা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলা উঠেছে।
পুরনো মামলার নতুন আবেদন জানালেন জনস্বার্থ মামলাকারী সৌরভ দত্ত। যেখানে বছরের পর বছর ধরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা বাকি। তারপরেও কীভাবে প্রতি বছর রাজ্য সরকার দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান বাড়িয়ে চলেছে। আবেদনকারীর বক্তব্য, ক্লাবগুলিকে গত বছরগুলিতে কীভাবে অনুদানের টাকা খরচ করেছে, তার হিসেব দেওয়ার নির্দেশ দিক আদালত।
ব্যাপক হেরফের!
এমনিতে ২০২৩ সালে বিভিন্ন ক্লাবকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৭০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিল। কিন্তু এই বছরে তা বাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮৫ হাজার টাকা করেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর এই অনুদানের টাকা এক লক্ষ টাকাতেও নিয়ে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মামলাকারীর দাবি, বিভিন্ন বকেয়া সত্ত্বেও কীভাবে রাজ্য সরকার এই টাকা দিচ্ছেন? এর আগেও একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সৌরভ নামের জনৈক। হাইকোর্টে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, এমন কোনও রিপোর্ট দেয়নি রাজ্য সরকার।
এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা!
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটি ১ লক্ষ টাকা চেয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্র এখনও রাজ্যকে ১,৭১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে পারেনি, তাই এই বছর মাত্র ৮৫,০০০ টাকা বরাদ্দ করা সম্ভব হয়েছে। তবে ২০২৫ সালে এই টাকার অঙ্ক এক লক্ষ টাকাও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা।