নাবালিকার শ্লীলতাহানি! অভিযুক্তের যৌনাঙ্গে বিছুটি পাতা ডলে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরাল জনতা

Published on:

Hooghly

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের হুগলিতে (Hooghly) নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে! খবর প্রকাশ্যে আসতেই আইন নিজের হাতে তুলে নিল স্থানীয় লোকজন। বাদ যায়নি স্থানীয় তৃণমূল, বিজেপির নেতারাও। জুতো পেটা থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গে বিছুটি পাতা লাগিয়ে উদোম মারধর করা হয় অভিযুক্তকে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির কামারপুকুরের সারদাপল্লি এলাকায় এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে বছর ৫৫-র এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকদিন ধরেই নাকি এক নাবালিকাকে উত্যক্ত করছিলেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। গত বুধবার, রাতে ওই নাবালিকাকে জোর করে শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্ত। বাড়িতে এসে পরিবারকে নির্যাতিতা সবটা জানালে হাতে নাতে স্থানীয় যুবক এবং সেখানকার তৃণমূল এবং বিজেপি নেতারা ওই অভিযুক্তকে ধরে। এবং পুলিশকে কোনও খবর না দিয়েই আইন তাঁরা নিজেদের হাতে তুলে নেয়।

আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে নদিয়ার পরিযায়ী শ্রমিককে কুপিয়ে খুন!

অভিযুক্তকে গ্রেফতার হুগলি পুলিশের

ভিডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের মাথা ন্যাড়া করে জুতোর মালা পরিয়ে সকলের সামনে কান ধরে উঠবস করানো হয়। শুধু তাই নয় বিছুটি পাতা অভিযুক্তের যৌনাঙ্গে লাগিয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয়। সমাজের নারীদের অসন্মান করায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে দুই দল তৃণমূল এবং বিজেপির নেতারা ওই অভিযুক্তকে একের পর এক উচিৎ শিক্ষা দেয়। হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেও অভিযুক্তকে একের পর এক শাস্তি দিয়েই চলে। পরে নির্যাতিতার মা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হুগলির গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, গত মাসে হাওড়ার লিলুয়া এলাকায় এক গৃহশিক্ষিকার স্বামীর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে এসেছিল। গত ৯ আগস্ট ঘটনাটি ঘটে লিলুয়া থানার অন্তর্গত জগদীশপুরে। ঘটনাসূত্রে জানা যায় ৯ বছরের এক ছাত্রী গৃহশিক্ষিকার বেতন দিতে আসার সময় সুযোগ বুঝে এই অপকর্ম করেন অভিযুক্ত। পরে পরিবারকে সবটা জানালে হাওড়া পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে।

সঙ্গে থাকুন ➥