প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্য জুড়ে আলু বিক্ষোভ যেন দিনের পর দিন চরমে উঠছে। আর তার সঙ্গেই সরকারের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে আলু ব্যবসায়ীদের। গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে নানা প্রশাসনিক পরিকাঠামোগত ইস্যুর মধ্যে উঠে এসেছিল আলুর মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গও। আর তাতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে পড়েন কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। আলুর সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। জায়গায় জায়গায় নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছিলেন তিনি। আর এই আবহে তীব্র বিরোধিতা করলেন গড়বেতার আলু ব্যবসায়ীরা।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ আলু ব্যবসায়ীদের!
আসলে বিভিন্ন জেলার আলুর রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও হিমঘরগুলিতে আলু মজুত রয়েছে। সব আলু এখনও বের করা হয়নি, এদিকে স্টক ক্লিয়ার হতে না হতেই বাজারে ছেয়ে গিয়েছে নতুন আলু। এদিকে গত বৃহস্পতিবার, নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, মেদিনীপুরের গড়বেতায় একটি চক্র আলু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। আর সেই কাজে মদত দিতে হাতে হাত মিলিয়েছে পুলিশের একাংশও। তাতেই ক্ষুব্ধ গড়বেতার আলু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত হিমঘরগুলিতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ প্যাকেটের মত আলু মজুত রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলছেন সেটা সম্পূর্ণ ভুল বলছেন, না জেনে বলছেন।
সঠিক খবর দেওয়া হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীকে!
আলু ব্যবসায়ীদের আরও দাবি এলাকার জনপ্রতিনিধিরা কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে সঠিক খবর দিচ্ছেন না। পশ্চিম মেদিনীপুরে সাধারণত যে ধরনের আলু চাষ হয় তা অতি নিম্নমানের আলু হয়। আসলে এই আলু পশ্চিমবঙ্গের মাত্র ১০ শতাংশ লোক খায় কিন্তু বাকি ৯০ শতাংশ আলু বাইরের রাজ্যে রফতানি হয়। বিহার, ওড়িশা বিভিন্ন রাজ্যে চলে যায়। এদিকে সরকার চাইছে কলকাতার মানুষকে কম মূল্যে আলু দিতে। তাই তাঁদের বক্তব্য সরকার এর উচিত যখন খুশি নিয়ম পরিবর্তন না করে যেন একটা নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করা। এমন ভাবে চললে আলু ব্যবসায়ীরা মাঠে মারা পড়বে। এবং সংসার চালাতে না পারলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।