শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ রাত পোহালেই রয়েছে আরও এক বড় শুনানি। ফের একবার প্রশ্নের মুখে বাংলার হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ। ইতিমধ্যে অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তাঁদের চাকরিটা থাকবে তো? নাকি এসএসসি প্রার্থীদের মতো তাঁদের কপালেও দুর্ভোগ নাচছে? আসলে রাত পোহালেই রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Bengal TET Scam) শুনানি। সোমবার এই মামলায় শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে। এহেন পরিস্থিতিতেই অনেকেরই বুকে ইতিমধ্যে ঢাক পিটতে শুরু করে দিয়েছে বলে মনে হয়।
সোমবার প্রাথমিক দুর্নীতি মামলার শুনানি
কয়েকদিন আগেই এসএসসি মামলায় প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সকলকে ১২ শতাংশ সুদ সমেত বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। যদিও বিশেষ কিছু কর্মীদের ক্ষেত্রে এই রায় প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এবার প্রশ্নের মুখে রয়েছে ৩২ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ। সম্প্রতি ২০১৬ সালে SSC প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। এবার সেই একই বছরের প্রাথমি চাকরি প্রার্থীদের দুর্নীতি মামলা সামনে রয়েছে।
সোমবার রয়েছে ২০১৬ সালের প্রাথমিকের মামলা। আদালত সূত্রে খবর, সোমবার, ৭ এপ্রিল, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত ACP প্রদ্যুম্ন? মন খারাপ ভক্তদের, CID নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত SONY-র
প্রশ্নের মুখে ৩২,০০০ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ
সবথেকে বড় কথা, টেট নিয়োগে দুর্নীতির জেরে এই মামলায় এক ধাক্কায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেই মামলারই শুনানি রয়েছে আগামীকাল। ২০১৬ সালের পাশাপাশি ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলাটিও এখন বিচারাধীন। যাইহোক, আগামীকাল সোমবার বাংলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভাগ্যে কী রয়েছে সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |