আপনারও কি লটারির টিকিট কাটার নেশা? কয়েক দিনের মধ্যে লটারি কাটবেন বলে পরিকল্পনা করছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল এক জরুরি খবর। বরং বলা ভালো, এবার থেকে লটারি কাটার আগে সাবধান হয়ে যান, নইলে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে কিন্তু আপনার জন্য।
জানা যাচ্ছে, এখন বাজারে ছেয়ে গেছে নিষিদ্ধ লটারির টিকিট। রমরমিয়ে চলছে সেই টিকিট বিক্রি। কেউ হয়তো বুঝতেও পারছেন না, অথচ শয়ে শয়ে টাকা খরচ করে আপনি নিষিদ্ধ টিকিট ঘরে তুলছেন। লটারি জিনিসটা এমনই যে কার কখন ভাগ্য বদলে যায় কেউ বলতে পারে না। অনেকেরই জীবনে Lottery কাটার নেশা থাকে। এমনও অনেক আছেন যারা প্রত্যেকদিন লটারির টিকিট কাটতে পছন্দ করেন। আবার অনেকেই আছেন যারা কিনা ৯ মাসে ৬ মাসে একবার লটারি কাটেন। যাইহোক, আপনিও যদি বাংলার বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে এবার থেকে লটারি কেনার আগে সজাগ হয়ে যান, নইলে অচিরেই বিপদ আপনার বাড়ি বয়ে আসবে কিন্তু।
রমরমিয়ে বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ লটারি
হাওড়ার জগাছা এলাকায় রেল কলোনির ছোট বাজারে বা কোনা এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন গরফার উনসানি রোডের পাশে, কালী মন্দিরের পিছনে দরমার বেড়া আর টালির চালের ছোট ছোট ঘরের দেখা মিলছে। এই ঘরে কী হচ্ছে তা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই না জানার ভান করছেন। আসলে এখানে গড়ে উঠেছে লটারি বিক্রির দোকান। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঘরগুলিতে এখন নিষিদ্ধ লটারি বিক্রি হচ্ছে। কম্পিউটার বসিয়ে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ফের একবার শুরু হয়েছে নিষিদ্ধ লোটো লটারির জুয়া খেলা। এই নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের শেষ নেই।
আরও পড়ুনঃ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারত নয়, সবথেকে নিরাপদ থাকবে আমাদের এই প্রতিবেশী দেশ! রইল তালিকা
অনেকের মধ্যে এমন লটারির নেশা ঢুকে গেছে যে প্রত্যেকদিন এই ঠেকগুলিতে চলে যাচ্ছিলেন সকলে। অভিযোগ, এই লটারি খেলা হয় একটি সংস্থার অ্যাপের মাধ্যমে। খেলার নাম ‘জিতো জোকার’। এই গেম খেলার জন্য ১০ টাকার টিকিট কিনতে হয়। লটারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কম্পিউটারে থাকা বিশেষ অ্যাপ। ফলাফল বেরোতে লাগে কয়েক মিনিট। জিতলে ১০ টাকায় মেলে ১০০ টাকা। ১০০ টাকায় মেলে হাজার টাকা। আর হারলে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়, অথবা ফের টাকা লাগিয়ে টিকিট কিনতে হয়। এখন পুলিশ কী করে সেটাই দেখার।