বাধা সরিয়ে নিয়োগের স্থগিতাদেশ তুলে নিল হাইকোর্ট

Published on:

Judge Appointment Process

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০২২ সালে রাজ্যের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি ২৯ জন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া (Judge Appointment Process) শুরু করে। কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জলঘোলা দেখা যায়। এক ওবিসি পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে যে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ নীতি সঠিক ভাবে মানা হয়নি এবং তবুও ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যার ফলে মামলা ওঠে হাইকোর্টে। এর ফলে গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। ফলে যাবতীয় নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।

বিচারক নিয়োগ নিয়ে জট কাটল আদালতে

এইভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে রাজ্যের নিম্ন আদালতের পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। কাজের অগ্রগতিতে অনেকটাই খামতি দেখা যায়। যার ফলে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে রাজ্যের নিম্ন আদালতের পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এমনকি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই ধরনের দুর্নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। কারণ নতুন বিচারকরা আসতে পারছিলেন না বলে, কয়েক লক্ষ মামলা নিম্ন আদালতে ঝুলে ছিল। তবে এবার সেই সমস্যার সমাধান মিলল। এখন থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর কোনো বাঁধা থাকল না।

তুলে নেওয়া হল সমস্ত স্থগিতাদেশ

সূত্রের খবর, সম্প্রতি নানা পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে জন্য গিয়েছে যে ২০২২ সালে পিএসসি যে ২৯ জন এর নিয়োগ প্রক্রিয়াতনিয়ে অভিযোগ উঠেছিল তা সম্পূর্ণ ভুল। অর্থাৎ সঠিক সংরক্ষণ নীতি অনুসরণ করেই নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগ পরীক্ষা সঠিক ভাবে করেছিল পিএসসি। অবশেষে পিএসসিকে ক্লিন চিট দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর সমস্ত স্থগিতাদেশ তুলে নিল। ২০২২ থেকে যে নিয়োগ আটকে ছিল, তা এ বার শুরু করা যাবে।

আরও পড়ুনঃ পরীক্ষা ছাড়া ইন্টারভিউর মাধ্যমেই SBI-তে প্রচুর শূন্যপদে নিয়োগ! মিলবে মোটা বেতনও

বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় রায় দিয়ে বলেন যে, “ বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মামলাকারী যে অভিযোগ এনেছিল, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কিন্তু ওনার অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করতে এই মামলার জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ ছিল। গত ২ বছর ধরে নিম্ন আদালতে কোনও নিয়োগ হচ্ছিল না। নতুন বিচারকরা আসতে পারছিলেন না বলে, কয়েক লক্ষ মামলা নিম্ন আদালতে ঝুলে ছিল। এবার সেই সবই জট খুলল। এখন এই পেশায় সকলেই আসতে পারবেন।”

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥