প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সম্প্রতি অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ মুহূর্তে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) আদলে নির্মিত হয়েছে এই মন্দিরটি। কিন্তু উদ্বোধনের পরেই ঘটনাচক্রে একের পর এক বিতর্কের মুখে পড়েছে এই মন্দিরটি। সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই জগন্নাথ মন্দিরের নামের পেটেন্ট চেয়ে আবেদন করতে চলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
চিহ্ন এবং নামের ক্ষেত্রে পেটেন্টের আবেদন!
দিঘায় মন্দির তৈরি হওয়ার এক মাসের মধ্যেই ‘জগন্নাথধাম’ নাম ব্যবহারের স্বত্ব পাওয়ার তৎপরতা শুরু হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। কী কারণে দিঘায় মন্দিরে ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ওডিশা। সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবার, পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের আধিকারিকরা একটি বৈঠকে বসেছিলেন।
দীর্ঘক্ষণ চলে সেই বৈঠক। এরপরেই ঠিক হয়েছে যে শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন ‘শ্রীমন্দির’, ‘জগন্নাথ ধাম’, ‘মহাপ্রসাদ’, ‘শ্রীমন্দিরের লোগো’, ‘শ্রীক্ষেত্র’ এবং ‘পুরুষোত্তম ধাম’-এর মতো শব্দগুলির পেটেন্টের জন্য আবেদন করবে। এমনকি শ্রীমন্দিরের চিহ্নর উপরেও স্বত্ব আবেদন জানানো হবে।
বৈঠকেই আইনি সিদ্ধান্ত মন্দির কর্তৃপক্ষের
এই প্রসঙ্গে পুরীর ‘শ্রীজগন্নাথ মন্দির প্রশাসনে’র মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, “জগন্নাথ মন্দিরের পবিত্রতা, ঐতিহ্য এবং এর অনন্য পরিচিতিকে সংরক্ষণ করতে আইনি ব্যবস্থার জন্য মন্দির-সম্পর্কিত শব্দগুলির স্বত্বের আবেদন করা হবে। জগন্নাথদেবের সঙ্গে সম্পর্কিত এই পবিত্র শব্দগুলিকে বাছবিচারহীন ভাবে ব্যবহার করা আটকাতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।” এমনকি ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানিয়েছিলেন যে, “হিন্দু পরম্পরা অনুযায়ী যে চারটি সর্বোচ্চ ধর্মীয় পীঠস্থান ‘ধাম’ হিসেবে চিহ্নিত, পুরী তার মধ্যে একটি। তাই দিঘার মন্দিরের নামকরণে ‘ধাম’ শব্দের ব্যবহার ভক্তদের মনে আঘাত দিচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ফের অনেকটাই কমল সোনার দাম, রুপো নিয়েও বিরাট সুখবর! আজকের রেট
কিছুদিন আগে পুরীর এক সেবায়েত দাবি করেছিলেন যে, পুরীতে জগন্নাথের নবকলেবর নির্মাণের পরে যে নিমকাঠ উদ্বৃত্ত ছিল, সেই কাঠ দিয়েই দিঘার মন্দিরের জন্য বিগ্রহ তৈরি হয়েছে। যার দরুন বিতর্ক চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। যদিও পরে ‘শ্রীজগন্নাথ মন্দির প্রশাসনে’র রিপোর্ট পাওয়ার পরে ওড়িশার মন্ত্রী হরিচন্দন স্বীকার করেন যে, নবেকলেবরে উদ্বৃত্ত হওয়া নিমকাঠ দিয়ে দিঘার মন্দিরের বিগ্রহ নির্মিত হয়নি।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |