আপনার সন্তানেরও যদি স্কুল ফাঁকি মেরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার স্বভাব হয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য রইল জরুরি খবর। এবার স্কুল কামাই করা রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বাংলায়। আরও বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
অনেক সময়েই দেখা যায়, পড়ুয়ারা বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে স্কুলে যাওয়ার জন্য, কিন্তু মাঝপথে স্কুলে না গিয়ে কেউ কেউ খেলার মাঠে নয়তো সিনেমা দেখতে চলে যাচ্ছে। এদিকে বাবা মায়েরা ভাবছেন যে তাঁদের ছেলে-মেয়ে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করছেন। কিন্তু তা মোটেও হচ্ছে না। এদিকে স্কুলে সকলের উপস্থিতির হারও কমে যাচ্ছে। এই নিয়ে স্কুলের তরফে পড়ুয়ার বাবা-মাকে ডেকে পাঠানো হয়। তবে এবার আর পড়ুয়ারা কারসাজি করার দিন শেষ।
এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থায় ততই আমূল বদল ঘটছে। এবার এতে নয়া সংযোজন হল QR Code Attendance। অর্থাৎ এবার QR Code -এর মাধ্যমে উপস্থিতি দিতে হবে পড়ুয়াদের। এবার থেকে যদি কোনও পড়ুয়া স্কুলে ফাঁকি দিয়ে কোথাও চলে যায় তাহলে সেটা অনায়াসেই জানতে পেরে যাবেন তাঁদের অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এই স্কুলে চালু QR কোড অ্যাটেনডেন্স
ইতিমধ্যে কিউআর কোড অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতিটি চালু হয়েছে কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ওই স্কুলে এখন পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১৭০০ জন পড়ুয়া রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট সংখ্যা ৬৫। নিয়ম অনুযায়ী, এখন সকলককেই QR Code-এর মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানাতে হবে স্কুলকে। জানা গিয়েছে, যখন পড়ুয়ারা স্কুলে ঢুকবে তখন স্ক্যানার মেশিনের মাধ্যমে আই কার্ডের পিছনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। সফলভাবে স্ক্যান হয়ে গেলেই পড়ুয়াদের উপস্থিতি হবে।
আরও পড়ুনঃ ১ বা ২ নয়, টানা তিন মাস গরমের ছুটি! বড় ঘোষণা করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন পড়ুয়ারা স্কুলে ঢুকছে কিনা সেটা তাঁদের বাবা-মায়েরা কীভাবে জানতে পারবেন? একটি অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য মেসেজ আকারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে অভিভাবকদের মোবাইল নম্বরে। থাকবে ডাইরিও।