অসেচতন করে ধর্ষণ, যোনি সহ ১৪ জায়গায় গভীর ক্ষত! তিলোত্তমার অটোপ্সি রিপোর্টে ভয়ংকর তথ্য

Published on:

r g kar autopsy report

কলকাতাঃ আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। দেশের বহু শহরের চিকিৎসকরা কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছেন। এদিকে দেশ থেকে শুরু করে বিদেশের নানা জায়গায় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ, আন্দোলন চলছে। এমনকি এই ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তবে এবার এই ঘটনায় প্রকাশ্যে এল অটোপ্সি রিপোর্ট। আর এই অটোপ্সি রিপোর্ট দেখলে বা সম্পর্কে শুনলে আপনারও হয়তো শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যেতে পারে বিকি।

ময়না তদন্তের রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের একটা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এসেছে। আর এই রিপোর্টে যা লেখা রয়েছে তা দেখে সকলেই ভাববেন, এও সম্ভব? এই রিপোর্ট লেখা রয়েছে…

  • ১) মৃতদেহে ১৪ জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
  • ২) নির্যাতিতার গলার হাড় ভাঙা, এমনকি হাড়ে রক্তপাতের চিহ্ন অবধি রয়েছে। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে থাইরয়েড কার্টিলেজ এবং হাইওয়েড বোন।
  • ৩) নির্যাতিতার গলা ও মুখ চেপে ধরার প্রমাণ মিলেছে।
  • ৪) মৃত্যুর আগে অসচেতন করে তারপরে ধর্ষণ করার ইঙ্গিত মিলেছে।
  • ৫) খাবারে ঘুমের ওষুধের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তাও ফরেন্সিক তদন্ত জরুরি।
  • ৬) বর্তমানে এই ঘটনায় হেফাজতে রয়েছে সঞ্জয় রায়। সে যদি প্রকৃত দোষী হয় তাহলে তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকতে পারে।
  • ৭) মৃতার শরীরে একাধিক নখের আঁচর ও কামড় রয়েছে।
  • 8) খতের লালারসে অভিযুক্তের কোষ মেলার সম্ভাবনা।
  • ৯) গোপনাঙ্গের রসে শুক্রাণু পেলে অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সহজ হবে।

সুপ্রিম কোর্টে ‘তিলোত্তমা’ মামলা

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি জে এস চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তভার কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। সরকারি হাসপাতালের সেমিনার হলে এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X