প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সংঘাত সবসময় তুঙ্গে থাকে। আবাস যোজনার টাকা থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ বারংবার তুলে ধরেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে আবার অন্যতম হল রেশন ব্যবস্থার চাল। রেশন (Ration) ব্যবস্থার টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে বারবার তাগাদা দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। এমনকি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষও কেন্দ্রকে দু’বার চিঠি লিখেছেন। কিন্তু তাতে একদমই সাড়া দিচ্ছে না মোদি সরকার। এদিকে অভিযোগ স্বরূপ কেন্দ্রীয় রিপোর্টে উঠে এসেছে যে পশ্চিমবঙ্গে ৪.২৩ শতাংশ ডুপ্লিকেট কার্ডের তথ্য মিলেছে, যা সম্পূর্ণ নাকচ করলেন খাদ্যমন্ত্রী।
২৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল কেনার অনুমোদন কেন্দ্রের
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যর উপভোক্তাদের খাদ্যশস্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারই কেনে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ হল হল ডিসেন্ট্রালাইজ প্রকিওরমেন্ট রাজ্য। আর নিয়ম অনুযায়ী পরে খাদ্যশস্য যোগানের ভতুর্কির পয়সা দিয়ে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু এবারেও কেন্দ্র সেই টাকা আটকে রেখেছে। উপরন্তু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য রাজ্য যে ২৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনে চাল করেছে, তার মধ্যে ৩ লক্ষ মেট্রিক টনের দায় নিতে নারাজ মোদি সরকার।
অর্থাৎ ২৮ এর পরিবর্তে ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন কেনার অনুমোদন করা হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে যখন রাজ্যগুলির সঙ্গে খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বৈঠক হয়। তখন কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়া রাজ্যের খাদ্যসচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকিকে এই বিষয়টি জানিয়ে দেয়। যা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার।
কী বলছেন খাদ্যমন্ত্রী
এই বিষয়ে গতকাল রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “হ্যাঁ আমিও শুনেছি। তবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের মানুষের জন্য ২৭-২৮ লক্ষ মেট্রিক টন চালই লাগে। সেটাই কেনা হয়েছে। ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ারও আমাদের রাজ্য থেকে চাল কেনার কথা। কিন্তু তারা তা কিনছে না। বলছে ওদের নাকি অনেক স্টক আছে। বাংলার চাল দরকার নেই।” এছাড়াও এদিন রথীন ঘোষ আরও বলেন যে, “জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা খাতে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও ৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। কবে সেই টাকা পাওয়া যাবে এখনও সেই বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। যদিও এভাবে বাংলার কৃষকদের বিপদে ফেলা যাবে না। তাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বাংলার মানুষকে দুবেলা পেট ভরে ভাত খাওয়ানোর জন্য নিশ্চিত করতে রাজ্যের ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের জন্য ৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন চাল কিনেছে।”
এদিকে বছর ঘুরতেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের লড়াইয়ে ইতিমধ্যে জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তার আগে কেন্দ্রের টাকা না দেওয়ার রূপ ফের দেখা গেল। আর তাতেই ক্ষুব্ধ শাসকদল। তাঁদের দাবি এতদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠির মাধ্যমে বরাদ্দ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সেই অনুরোধ বারবার প্রত্যাখ্যান করায় আর কেন্দ্রের উপর নির্ভর না থেকে রাজ্যের অর্থ ভাণ্ডার থেকে পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছে। যার অন্যতম উদাহরণ হল বাংলার আবাস যোজনা। আর আরও আবহে টেষণ ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রের এই রূপ ফের রাজ্য এবং কেন্দ্রের সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করল।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |