শ্বেতা মিত্রঃ গরম থেকে বাঁচার জন্য পাহাড়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন? সেখানেও স্বস্তি নেই। পাহাড়ের মানুষরাও গরমে কার্যত হাঁসফাঁস করতে শুরু করেছেন। কিনতে হচ্ছে ফ্যান, এসি! পরিস্থিতি এমন যে দার্জিলিংয়ে শেষ কবে এতো গরম পড়েছে সেটা জানার জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে গবেষণা।
গরমে ধুঁকছে শৈলশহর
গরমের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই উত্তরবঙ্গে ছুটে যান। একটু ঠান্ডার আমেজ নেওয়ার জন্য পাহাড়ে যেতে অনেকেই পছন্দ করেন। মধ্যবিত্ত বাঙালিদের পাহাড়ে যাওয়ার প্রথম পছন্দ যথারীতি দার্জিলিং। কিন্তু সেই দার্জিলিং কী আর আগের মতো আছে? আবহাওয়ার বদল দেখে এখন অনেকেই এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কারণ সেখানেও গরম পড়তে শুরু করেছে।
দার্জিলিং মানেই মনোরম আবহাওয়া, এই ধারণা প্রায় সকলের মনে রয়েছে। বিশ্ব জুড়ে যেভাবে গরম পড়তে শুরু করেছে তাতে এই ধারণা ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করতে পারে। দার্জিলিংয়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই সিলিং ফ্যান ছাড়াই বড় হয়েছে। ওখানে কৃত্রিম উপায়ে হাওয়া লাগতই না। এখন আর সেই দিন নেই। গরম এতটাই বেড়েছে যে সেখানকার বাসিন্দারাও অবাক। দার্জিলিংয়ে পড়েছে রেকর্ড মাত্রায় গরম।
ঘুরতে গিয়ে বিপাকে পর্যটকরা
অনেকে মনে করছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দার্জিলিংয়ে। গাছপালা কেটে তৈরি হয়েছে একের পর বাড়ি, হোটেল, রিসোর্ট। তারফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বণ্য প্রাণ। যার জেরে গরম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে পর্যটকদের মধ্যে দার্জিলিংয়ের গ্রহণযোগ্যতা কতটা থাকবে সে ব্যাপারেও রয়েছে আশংকা।
রিপোর্ট বলছে দার্জিলিংয়ে রেকর্ড গরম পড়েছে। সিকিমের হাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত শতাব্দীর ন’য়ের দশকের পর এই সেপ্টেম্বর মাসে পাহাড়ে কখনও এত গরম পড়েনি। চলতি মাসে সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। দার্জিলিং ছাড়াও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও বেড়েছে গরমের দাপট।