আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের বড়সড় মিথ্যা ফাঁস করল নির্যাতিতার বাবা, তুঙ্গে শোরগোল

Published on:

r g kar

কলকাতাঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল-কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে আবারও বড় অভিযোগ করলেন তিলোত্তমার বাবা। এমনিতে আরজি কর-এ তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন এবং দুর্নীতিকাণ্ডে সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলা তথা সমগ্র দেশ। দিকে দিকে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। সকলেই তিলোত্তমা, নির্ভয়া-র বিচারের দাবিতে ময়দানে নেমেছে। কিন্তু এরই মাঝে তিলোত্তমার পরিবার রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হল। DC সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় মিথ্যে বলছেন বলে দাবি করলেন তিলোত্তমার বাবা।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

আরজি কর-এর ভিডিও ভাইরাল

বর্তমানে দিকে দিকে এখন একটাই স্লোগান ‘We Want Justice, বিচার চায় তিলোত্তমা।’ এখন এই স্লোগানে মুখরিত বাংলার সব মানুষ। এসবের মাঝেই এখন আরজি কর হাসপাতালের একটি ভিডিও ঘিরে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে বাংলা। দাবি করা হচ্ছে, সেটি আরজি করের সেমিনার হলের। ক্রাইম স্পটে কীভাবে বহিরাগতরা ঢুকল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই নিয়ে সাফাই দিতে পিছপা হয়নি পুলিশ। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে পরিষ্কার জানিয়েছেন, ‘সেমিনার হলে যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল তার থেকে চল্লিশ ফিটের মধ্যে বহিরাগত কেউ আসেনি। যেখানে নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেই অংশ পুলিশ সাদা কাপড় দিয়ে কর্ডন বা ঘিরে রাখা হয়েছিল।’ এদিকে পুলিশের এহেন দাবি শুনেই বেজায় চটেছেন তিলোত্তমার বাবা।

পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যে বলার অভিযোগ

তিলোত্তমার বাবার দাবি, ‘লালবাজারের কর্তারা মিথ্যে কথা বলছেন। আমাদের সাড়ে ৩টের আগে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলানো হয় সিপির ফোনে। ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের এত মিথ্যে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? উনি তো সব মিথ্যে কথা বলছেন। আমাদের পরিবারের কাউকে ৩:৩০-এর আগে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা যখন ঢুকেছি তখন সেখানে সিপি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। সিপি ছাড়া কেউ আমাদের ওখানে নিয়ে যায়নি। যেই সময় তাঁরা সেমিনার রুমের ভিতরে গিয়েছিলেন তখন সাদা কাপড় দিয়ে কোনও কর্ডন করা ছিল না। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল সব সাজিয়ে রাখা হয়েছে।’

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বিস্ফোরক লালবাজার

ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে লালবাজার বলেছে, ‘আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম ‘প্লেস অফ অকারেন্স’। এটি ৫১/৩২ ফিট। এরই একটা অংশে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘরের চল্লিশ ফিট পর্যন্ত পুলিশ সাদা কাপড় দিয়ে কর্ডন (ঘিরে) করে রেখেছিল। ভাইরাল ভিডিয়োতে যা দেখা গিয়েছে তা এই চল্লিশের ফিটের বাইরের যে এগারো ফিটের ভিডিয়ো। এখানে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওইখানে বহিরাগত কেউ ছিল না।’

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group