ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেখতে দেখতে প্রায় ১ মাস অতিক্রম হতে চলল। কিন্তু আরজি কর মামলার তদন্তে এখনও অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না। এদিকে তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে এখনও রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভের দাবি জানিয়ে চলেছে সাধারণ মানুষেরা। এদিকে এই আবহে গত সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলার শুনানি দু’থেকে তিন দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। আর সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
পিছিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি
যার ফলে পিছিয়ে গিয়েছে আরজি কর কাণ্ডের মামলার পরবর্তী শুনানি। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে তার বদলে এবার আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে উঠবে আরজি কর মামলাটি। ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে CBI দু’টি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে এবার তিলোত্তমার সুবিচারের লড়াইয়ে হাত বাড়িয়ে দিল আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। যিনি কিনা ২০২০ সালে দিল্লির নির্ভয়া কেসে আসামীর ফাঁসি পিছিয়ে দিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন আইনের দোহাই দিয়ে।
শুনানির আগে আইনজীবি বদল
এতদিন ধরে নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারের তরফ থেকে আইনের লড়াই করছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিনা পারিশ্রমিকেই এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, এখন থেকে তিলোত্তমার মা-বাবার হয়ে মামলা লড়বেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৃন্দা গ্রোভার। তিনিও তিলোত্তমার এই মামলা লড়বার জন্য পরিবারের কাছ থেকে এক টাকাও পারিশ্রমিক নেবেন না। আসলে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের পক্ষে নাকি বারবার দিল্লি গিয়ে মামলা লড়া কঠিন হয়ে পড়ছিল। তাই আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তিলোত্তমা কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি হওয়ার আগেই আইনজীবী বদল।
কে এই বৃন্দা গ্রোভার?
জানা গিয়েছে, আইনজীবি বৃন্দা গ্রোভার নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনে একাধিক মানবাধিকার সংক্রান্ত এবং মহিলা-শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতনের একাধিক মামলা লড়েছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন বৃন্দা। ১৯৮৭ সালের হাসিমপুরা পুলিশ হত্যা মামলা, ২০০৪ সালের ইসরাত জাহান মামলা, ২০০৮ সালে কাঁধামালে খ্রিস্টান বিরোধী দাঙ্গা মামলাতে লড়েছেন তিনি। পকসো বিলের সংশোধনীর খসড়া তৈরিতে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই আবার তিলোত্তমার পরিবার চেয়েছিল ইন্দিরা জয়সিং এর মত ওজনদার কোনও আইনজীবী তাঁদের মেয়ের সুবিচারের জন্য লড়ুক। আর এবার সেটাই ঘটতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, তিলোত্তমার মা-বাবার আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবীও বদল করা হয়েছিল। গীতা লুথরার বদলে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা, তিন তালাক মামলার আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং-কে নিয়োগ করা হয়েছিল। আর প্রথম দিনেই তাঁর চমক ছিল দেখার মত। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি আরজি কর মামলার শুনানিতে একের পর এক জোরাল প্রশ্নে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে।