দোলের আগে বাংলায় ফের বাড়ল চালের দাম! এবার কতটা? মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের

Published on:

rice price

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দিন যত এগোচ্ছে মধ্য নিম্নবিত্তদের হেঁশেলে যেন টানাটানির প্রভাব আরও বাড়ছে। তার অন্যতম মূল কারণ হল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া। একদিকে যেমন বাড়ছে গ্যাসের দাম ঠিক তেমনই অন্যদিকে বাড়ছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম । আর এই আবহে বেশ চিন্তায় পড়েছে আম আদমি। এবার সেই চিন্তা আরও একপ্রস্ত বাড়ল। ফের একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল চালের দাম (Rice Price)।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ফের বাড়ল চালের দাম

সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানে মাস দুয়েক আগে যেখানে মিনিকিট চাল খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা প্রতিকেজি দরে, সেখানে ২ মাস যেতে না যেতেই মিনিকিট চাল ১২ থেকে ১৮ টাকা বেড়ে যাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তার ভাঁজ ক্রেতাদের কপালে। বর্তমানে এই মিনিকিট চালের দাম ৬৪-৬৫ টাকা প্রতি কেজি। শুধু মিনিকিট নয়, রত্না, গোবিন্দভোগের চালও বিকোচ্ছে কড়া দামে। যেখানে আগে রত্না চাল ছিল ৪৩ টাকা এবং গোবিন্দভোগ ছিল ৬৫-৭০ টাকা সেগুলি বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে খুচরো বাজারে।

দিনের পর দিন এইভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বেশ চিন্তায় পড়েছে আমজনতা। তাই এই পরিস্থিতিতে আমজনতা চাইছে সরকারি নজরদারি। দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার কাঞ্চন সোম বিস্ফোরক দাবি করেন।তিনি জানান, “রাইসমিল থেকে যে দামে চাল বিক্রি হয় তার থেকে অনেক বেশি দামে বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে। মাঝে বেশ কয়েক হাত হয়ে চাল পৌঁছচ্ছে ক্রেতাদের কাছে এই পৌঁছচ্ছে এই চাল। অন্যদিকে এইভাবে ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম হওয়ায় চাল বিক্রেতারাও বেশ সমস্যায় পড়েছেন। তারা জানাচ্ছেন, চালের দাম এভাবে এতটা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়াটা কোনোভাবে নিতে পারছে না অনেকে। বিশেষ করে খদ্দেরদের বোঝাতেই তাঁরা হিমসিম খাচ্ছেন যে চালের দাম বৃদ্ধি দোকানদারদের হাতে নেই। তাদেরও লাভ বাড়ছে না সেরম।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুনঃ ওপেনে কোহলি, KKR-কে চেপে ধরতে সাংঘাতিক দল সাজাচ্ছে RCB! কেমন হবে প্রথম একাদশ?

দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ চাল বিক্রেতারাও

এছাড়াও চাল বিক্রেতারা জানিয়েছেন যে কৃষকদের কাছে চালের অভাব থাকতে পারে কিন্তু চাল তো বিক্রি করেন রাইস মিলাররা। যদি বাজারে মিনিকিট চালের অভাব থাকে তাহলে চাল আসছে কীভাবে? সেক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ এ চালের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অনেক দোকানদার এই চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দোষ দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলকে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন যে কিছু মদতপুষ্ট রাজনীতিবিদদের কথায় কয়েক শ্রেণীর মানুষ চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, “রাজনীতির লোকেদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তাঁদের পকেটে টাকা ঢুকলেই তাঁরা শান্তিতে থাকে। তাইতো একটা ডিম সাড়ে পাঁচ টাকা। ১ কেজি চালের দাম ৬৪ টাকা হলেও এই বিষয়ে কারোর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য Join Group
চাকরির খবরের জন্য Join Hood Jobs
রাশিফলের জন্য Join Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group