সেরা ছাত্র, বাশদ্রোণীতে পড়ুয়ার মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিক্ষক! ফাঁস করলেন দুর্ঘটনার বড় রহস্য

Published on:

bansdroni student accident

প্রীতি পোদ্দার: আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সূচনা হল দেবীপক্ষের। সকাল সকাল ঘাটে ঘাটে দেখা গেল তর্পনের ভিড়। কিন্তু এই আবহেই ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। চলে গেল এক তরতাজা প্রাণ।

ঘটনাটি কী?

WhatsApp Community Join Now

জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ১১৩ নং ওয়ার্ডে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল। রাখা হয়েছিল JCB। মহালয়ার সকালে সেই কাজের সময়ই এক বড় বিপত্তি ঘটে। রাস্তা সারাইয়ের কাজ যখন চলছিল তখন সেই সময় কোচিং সেন্টারে হেঁটেই যাচ্ছিল নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র সৌম্য শীল। কিন্তু সেই সময় স্কুলছাত্রকে পিষে দেয় জেসিবি। স্থানীয় সূত্রে খবর, জেসিবির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকাই তার সামনে এগিয়ে থাকা জেসিবির অংশ ছাত্রকে একটি গাছের সঙ্গে পিষে দেয়। তাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার প্রতিবাদে জেসিবিতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা

সূত্রের খবর, সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ছাত্রকে। কিন্তু কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মহালয়ার ভোরেই মায়ের কোল শূন্য করে চলে গেল এই মেধাবী ছাত্রটি। ওই ছাত্রের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলে দলে মানুষ নেমে আসেন রাস্তায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসে পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুতেই স্বাভাবিক হয় না। বরং পুলিশ আসলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তারা। স্থানীয় কাউন্সিলর কেন দ্রুত আসেননি সেই নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কান্নায় ভেঙে পরে মৃত ছাত্রের পরিবার। আর এই আবহেই এবার বড় মন্তব্য করে বসলেন নিহত ছাত্রের গৃহশিক্ষক সন্তোষ রায়।

ভয়ংকর অভিযোগ শিক্ষকের

মঙ্গলবার সকালে তাঁরই বাড়িতে পড়তে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাস নাইনের ছাত্র। তিনি নিজেই তাঁর প্রিয় ছাত্রকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে রওনা করান। তারপরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনিও। মাষ্টারমশাই বলেন যে সকালবেলা দরজা খুলতেই তিনি দেখেছিলেন তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে পে লোডারটি। সেই সময় চারজন লোক মদ্যপ অবস্থায় বসেছিলেন। একটু পড়েই বিকট শব্দে ছুটে গিয়ে দেখা যায় সৌম্যকে ধাক্কা মেরেছে গাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে ওকে কোলে করে তুলে হাসপাতালের পথে রওনা দিলেও সব কিছুই শেষ হয়ে যায়। তদন্তে নেমেছে সেখানকার স্থানীয় এলাকার পুলিশ।

সঙ্গে থাকুন ➥
X