প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ২৭ জুন থেকেই শুরু হচ্ছে রথযাত্রা। দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই দর্শনার্থীদের উৎসাহ বাড়ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে। তবে দিঘার (Digha) হোটেল ও টোটো ভাড়া ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও দিঘার হোটেলের রিসেপশনে ঝুলল না ঘর ভাড়ার তালিকা।
ঘর ভাড়ার তালিকা রিসেপশনে টাঙাতে হবে!
সামনেই রথযাত্রা, আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এবং পর্যটকদের ভিড়কে কেন্দ্র করেই হোটেলগুলিতেই ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পোর্টালে বেলাগাম হোটেল ভাড়া নিয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে। আর তাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
তখনই নির্দেশ দেওয়া হয় যে দিঘার হোটেলের ঘর ভাড়ার তালিকা মালিকদের রিসেপশনে টাঙাতে হবে। এবং সেই তালিকার কপি পঞ্চায়েত অফিসে পাঠাতে হবে। স্পষ্ট জানানো হয় যে হোটেল যদি ঘর ভাড়া নিয়ন্ত্রণ না করে তা হলে বাতিল করে দেওয়া হবে লাইসেন্স।
প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য মালিকদের!
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল যে হোটেলের মালিকদের নির্দেশনা প্রকাশিত হওয়ার আগামী সাত দিনের মধ্যে এই নোটিস টানাতে হবে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এখনও সেই নির্দেশ মানেন নি কেউই। হোটেলগুলিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, এখনও পর্যন্ত কোনও হোটেলই ওই তালিকা টাঙায়নি। যার দরুন ক্ষুব্ধ প্রশাসন।
সেই কারণে আজ অর্থাৎ সোমবার দিঘার চারটি হোটেল মালিক সংগঠনকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা প্রশাসনের কর্তাদের। সেখানেই হোটেল ভাড়া, স্বাচ্ছন্দ্য ও পর্যটন শহরের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সরাসরি আলোচনা করবেন দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের চোখরাঙানি! ব্রেকের পর কামব্যাক বর্ষার, দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় ঝড়বৃষ্টির সতকর্তা
ক্ষুব্ধ জেলা শাসক!
এই প্রসঙ্গে ওল্ড দিঘা হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সহস্রাংশু মাইতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘আমরা সংগঠনের সদস্যদের মিটিংয়ে ডেকে জানিয়ে দিয়েছি প্রশাসনিক নির্দেশ না মানলে প্রশাসন যদি কোনও পদক্ষেপ নেয়, তা হলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।’ অন্যদিকে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে, “প্রশাসনের নির্দেশ না মানলে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যে হোটেলের বিরুদ্ধে উঠবে, আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।” প্রসঙ্গত, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নিয়ম অনুসারে হোটেলের কাউন্টারে হোটেলের রুমের সংখ্যা, খালি রুমের সংখ্যা ও ভাড়ার তালিকা ঝুলিয়ে রাখার কথা। কিন্তু, এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কার্যত হোটেলগুলি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |