প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৯ আগস্ট, আরজি করে তিলোত্তমার ঘটনার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা হাসপাতালের অন্দরেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ হাতে পেয়েছে। আর সেই সকল তথ্যে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠে এসেছে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নামে। হাসপাতালের বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে দেহ পাচার, একাধিক অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার হন তিনি। আর এই আবহেই এবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছে সন্দীপ ঘোষের চারটি ফিক্সড ডিপোজিট এর মামলা।
ফের উঠে এল সন্দীপের ফিক্সড ডিপোজিটের মামলা!
সম্প্রতি সন্দীপ ঘোষের পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের কাছে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপের চারটি ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে চেয়ে। পরিবারের দাবি, এইমুহুর্তে নানা আর্থিক অনটন চলছে। তাই পারিবারিক খরচ-সহ একাধিক খরচ সামাল দিতে এই অ্যাকাউন্ট ভাঙতে চেয়েছেন তিনি। যেহেতু এই অ্যাকাউন্টগুলি কোনওটিই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বাজেয়াপ্ত করেনি। তাই সেই কারণে CBI কে পার্টি করা হয়নি। কিন্তু এই মামলায় বিচারপতির স্পষ্ট বক্তব্য এক্ষেত্রে সিবিআই-কে পার্টি করতে হবে।
পার্টি করা হয়নি CBI কে!
গতকাল অর্থাৎ সোমবার হাইকোর্টে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, আর্থিক দুর্নীতির মামলা চালানোর পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের সংসার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে বলেই ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙাতে চেয়েছিলেন সন্দীপ। কিন্তু আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের অভিযোগ, প্রেসিডেন্সি জেল কতৃপক্ষ কোনওভাবেই সহযোগিতা করছে না। অন্যদিকে ব্যাঙ্কের আইনজীবী দেবাশিস সাহা পাল্টা দাবি করেন যে, সম্প্রতি CBI সন্দীপ ঘোষের একটি লকার সিজ করেছে বলে ব্যাঙ্কের কাছে খবর এসেছে। কিন্তু সিবিআইকে এই ক্ষেত্রে পার্টি করা হয়নি। আর তাতেই সন্দীপের আইনজীবী উত্তর দেন যেহেতু মূল অ্যাকাউন্ট নয়, একটি লকার সিজ করেছে CBI, তাই পার্টি রাখা হয়নি।
এদিনের এই মতবিরোধের মাঝেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তর সিদ্ধান্ত নেন যে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সন্দীপের কোন অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে CBI কে একটি স্পষ্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মামলাটির শুনানি হবে আগামী ৪ নভেম্বর বলে নির্দেশ দেন।