প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness allowance) ও শূন্যপদে নিয়োগের দাবিকে সামনে রেখে সপ্তাহ দুয়েক আগেও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাই প্রাপ্য দাবি আদায়ের জন্য গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার অর্থাৎ ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর নবান্নের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিল সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই সময় পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টের কাছে দ্বারস্থ হলে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ অনুমতি দেন। আর সেই অনুমতি নিয়েই অবশেষে নবান্নের সামনে ধরনায় বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’।
নিয়োগ দুর্নীতি ধীরে ধীরে কমেছে
সূত্রের খবর, ধরনার শেষ দিন অর্থাৎ গতকাল, মঙ্গলবার, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এর পক্ষ থেকে ভাস্কর ঘোষরা সরকারপক্ষের হাতে একটি ডেপুটেশন তুলে ধরেন। আর তখনই ২৪ ডিসেম্বর সরকার পক্ষের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘ বৈঠক বা আলোচনা হয় । এবং সেই আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে এবার সরাসরি কথা বলেন তিনি। ভাস্কর ঘোষ জানান, ‘রাজ্যটাকে বাঁচাতে গেলে দরকার স্বচ্ছ ভাবে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ। আপাতত সরকারি চাকরিগুলিকে ওজন দরে বিক্রি করাটা বন্ধ করুক। আমরা যথা সম্ভব চেষ্টা করেছি নিয়োগ করার। যার ফলে দুর্নীতি অনেকটাই নিম্নমুখী। তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর পর যে ক’টা নিয়োগ হয়েছে, সেই ক’টা নিয়োগে আগের মতো আর চাকরি বিক্রিটা হয়নি।’
অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ নিয়েও দাবি করা হয়েছে
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘ জানা গিয়েছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ শূন্য পদ আছে। সেই সব শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানিয়েছি। এই রাজ্যের তরুণদের জন্যে সরকারি চাকরির দরজাটা না খুলে দিলে তাদের পরিযায়ী হতে হবে। এবং এই রাজ্যের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা গোটা পশ্চিমবঙ্গকে বৃদ্ধাশ্রমে পরিণত করবেন।’ এছাড়াও উঠে এসেছে অস্থায়ী কর্মীদের প্রসঙ্গ। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অন্যতম দাবি হল এই অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ।
এদিন ভাস্করবাবু জানিয়েছেন, “ সরকারপক্ষ দেরকে আমরা নির্দিষ্ট ভাবে প্যারা টিচারদের কথা বলেছি। শিক্ষা বন্ধুদের কথা বলেছি। তারা সেই সংক্রান্ত নোট নিয়েছেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কথা বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ডিপার্টমেন্টের অধীনে চাকরি করা হোমিওপ্যথি ডাক্তারদের কথা বলা হয়েছে। আমরা ক্ষেত্র ধরে ধরে সেই সবার নাম বলেছি।’ এবার দেখা পাকা বর্শশেষে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় সরকারী কর্মীদের জন্য।