প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়েই প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। যদিও একবছর আগে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি (SSC) নিয়োগের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় রাজ্য এবং পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে এই রায় চ্যালেঞ্জ করলে সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট উচ্চ আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
কিন্তু শেষমেষ সেই রায়কেই পুনর্বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। বাতিল হয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি। আর এই রায়ের ফলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় যে বিরাট প্রভাব পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। তাই আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ আর্জি জানিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
যোগ্যদের কাজে যোগদানের আর্জি পর্ষদের
সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার রায় ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যেই ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ফের নতুন করে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আসলে এই মামলায় পর্ষদের মূল বক্তব্য ছিল যে বরাবরই রাজ্যের স্কুলগুলিতে পড়ুয়া এবং শিক্ষকের অনুপাত রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান নির্ধারিত অনুপাতের তুলনায় অনেকটাই কম থেকে আসছে। তার উপর এই অবস্থায় এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ায় রাজ্যের পঠনপাঠন ব্যবস্থা কার্যত শিকেয় উঠেছে। শুধু তাই নয় শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল হওয়ায় স্কুলে সাফাই এবং অন্যান্য কাজকর্মও বেশ ব্যাহত হয়েছে। তাই এই সমস্যার সমাধানে ছুটতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
মামলার শুনানি হতে পারে আজ
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার কাছে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে পর্ষদ আর্জি জানিয়েছে যে, যাঁরা ‘দাগি’ বা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ নন, অর্থাৎ যে সকল চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্যদের তালিকায় ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আপাতত তাঁদের চাকরি যেন বহাল থাকে। এবার সেই মামলার শুনানি আজ সুপ্রিম কোর্টে হতে পারে। জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় শীর্ষ আদালতের তালিকায় এই মামলাটিকে প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিয়েছে সেখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনটি আজ শুনানির জন্য ৩৫ নম্বরে রয়েছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ এই মামলা শুনতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আরও সস্তা হতে পারে EMI, হোম লোন! সুখবর দিতে চলেছে RBI
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই রাজ্য রাজনীতি জুড়ে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চাকরিহারারা কার্যত পথে নেমে এলাকায় এলাকায় আন্দোলন এবং বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাঁদের একটাই দাবি কেন অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের সবার সামনে বলির পাঁঠা হতে হল। কেন তাঁরা কিছু না করেই এই দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন যে চাকরিহারাদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও কয়েকদিন আগে বৈঠক করেছিলেন চাকরীহারা প্রতিনিধিদের সঙ্গে। আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর তাই এই অবস্থায় সকলেরই চোখ এখন শীর্ষ আদালতের দিকে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |