সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কলকাতা শহরের যাত্রীদের জন্য বিরাট ঝটকা! হাওড়া স্টেশনের চাপ কমাতে এবার দক্ষিণ-পূর্ব রেল বিরাট সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল। সূত্রের খবর, এবার শালিমার রেলওয়ে স্টেশনকে (Shalimar Station) ঢেলে সাজানো হচ্ছে। শুধু স্টেশন নয়, বরং তৈরি হচ্ছে আধুনিক কোচিং কমপ্লেক্স। হ্যাঁ, এর পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ বাড়ানো হচ্ছে এবং যাত্রী পরিষেবা সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে আগামী দিনে শালিমার হয়ে উঠতে পারে একেবারে হাওড়ার বিকল্প।
হাওড়া চাপ কমানোর বিকল্প শালিমার
বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্র স্বয়ং উপস্থিত থেকে শালিমার স্টেশনে বন্দে ভারত কোচিং কমপ্লেক্স তৈরীর কথা জানায়। আর এই অনুষ্ঠান থেকে তিনি জানিয়েছেন শালিমারকে ভবিষ্যতে হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
তার কথায়, হাওড়া স্টেশনের উপর থেকে চাপ কমাতে শালিমার স্টেশনকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। আর এতে শুধুমাত্র বন্দে ভারত ট্রেন নয়, বরং অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকেও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
চলবে দূরপাল্লা ও লোকাল উভয় ট্রেন
বর্তমান সময়ে হাওড়া স্টেশন থেকে প্রতিদিন অগুন্তি দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ে। আর এত ট্রেনের ভিড়ে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা সমস্যার মুখে পড়ে। যাত্রীদের হয়রানির শেষ থাকে না। কিন্তু শালিমার স্টেশনকে নতুনভাবে মেইনটেনেন্স ডিপো তৈরি করা হলে সেই দূরপাল্লার ট্রেনের চাপ অনেকটাই কমবে। এর ফলে হাওড়া স্টেশনের উপর পড়বে না বাড়তি চাপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধীনে চলা লোকাল ট্রেন পরিষেবাও আরও উন্নত হবে।
আরও পড়ুনঃ এবার প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ মিলবে মাত্র ১ টাকায়, বিরাট ঘোষণা সরকারের
203 কোটি টাকার বিরাট পরিকাঠামো
শুধু ট্রেন চলাচল নয়, বরং শালিমার স্টেশন চত্বরে করা হচ্ছে জোরকদমে উন্নয়নের কাজ। তৈরি হচ্ছে নয়া ওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস, রাস্তা এবং ফেরিঘাট সংযুক্তির সুবিধা। আর দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য 203 কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।