শান্তিনিকেতন… যারা ঘুরতে পছন্দ করেন বিশেষ করে যারা লাল মাটি পছন্দ করেন তাদের বাকেট লিস্টে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ থাকবেই থাকবে। আপনিও কি আগামী দিনে শান্তিনিকেতন ঘুরতে যাবার পরিকল্পনা করছেন বিশেষ করে রবীন্দ্র ভবন বিশ্বভারতীতে ঢোকার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের জন্য রইল খারাপ খবর। এক ধাক্কায় অনেকটাই টাকা বাড়িয়ে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
পর্যটকদের জন্য খারাপ খবর
সম্প্রতি ইউনেস্কোর শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ টকমা দেওয়া হয়েছে। আর এই তকমা পেয়ে বেজায় খুশি বাংলার মানুষ। খুশি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও। তবে এবার এই শান্তিনিকেতন ঘুরতে গেলে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে পর্যটকদের।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর এই বিজ্ঞপ্তি দেখে পর্যটকদের চোখ রীতিমতো কপালে উঠেছে। বিশেষ করে যারা বিদেশী পর্যটক তাদের জন্য রয়েছে খুবই খারাপ খবর। উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ মূল্য বাড়াল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
বাড়ল প্রবেশ মূল্য
এটা তো সকলেই জানেন যে সম্প্রতি এই এলাকাটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা পেয়েছে। শান্তিনিকেতন একটি জনপ্রিয় সপ্তাহান্তের পর্যটন গন্তব্য এবং সারা বছর ধরে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তির আবাসে ঘুরতে আসেন।
যদিও এখন থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য প্রবেশ মূল্য হবে ১০০০ টাকা, সার্কভুক্ত দেশগুলোর পর্যটকদের জন্য ৫০০ টাকা এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ১০০ টাকা কড়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগে বিদেশিদের জন্য ৫০০ টাকা, ‘সার্ক’ভুক্ত দেশগুলির নাগরিকদের জন্য ৩০০ টাকা, সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ৭০ টাকা এবং পড়ুয়াদের জন্য ১০ টাকা ছিল। তবে এবার এই টাকা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেল।
হু হু করে বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা
জানা গিয়েছে, গত তিন মাসে এই দুই জায়গায় নাকি দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র প্রবেশ ফি থেকে ২৫ লক্ষ টাকা আয় করেছে।প্রতিদিন কয়েক শত দর্শনার্থী এবং পর্যটক রবীন্দ্র ভবনে যান, যেখানে একটি জাদুঘর রয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী প্রদর্শন করে। উপাসনা গৃহের পাশেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাঁচটি বাড়ি- কোনার্ক, শ্যামলী, পুনাছ, উদয়ন ও উদীচীও তারকা আকর্ষণ।